হোম অব ক্রিকেটে হেড কোচ-সিনিয়র কোচের সঙ্গে তাওহীদ হৃদয়-জাকের আলীদের বিশেষ অনুশীলন। বিভিন্ন পজিশনে থাকা রুপক ফিল্ডারদের গ্যাপ গলিয়ে গলিয়ে শট খেলছেন দুই ব্যাটার। কিন্তু আইসিসির ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে অবনমন জের ধরে মনে পড়ছে পুরনো কথা।
ক্যালেন্ডারে ২৫ সাল। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট ১৯টা বছর ক্রিকেট দুনিয়া প্রদক্ষিণ করে যেন ফিরে গেছে ২০০৬ সালে। মাঝখানে উত্থান-পতন আছে, কিন্তু ঘুরে ফিরে সেই দশের বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছে টাইগার টিম। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি পরের কথা, ওয়ানডেতেও কি আর বাংলাদেশকে ভালো দল বলার সুযোগ থাকছে?
সমকালের বিশেষ প্রতিনিধি সেকান্দার আলী বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন জিম্বাবুয়ের কাছাকাছি একটা দল আবার ওয়ানডেতে। সেটা কিন্তু রিফ্লেক্ট হয়েছে ১০ নম্বরে নেমে যাওয়ার মধ্য দিয়ে। বাংলাদেশের ক্রিকেট আসলে কোনো লেভেলেই আসলে ভালো না। একটা লো র্যাংকের মধ্যে ঘুরাফেরা করেছে। তুলনাটা কোথায় করেছে? তারা নিজেদের মধ্যে টি-টোয়েন্টি এবং টেস্টের মধ্যে করেছে। তারা কিন্তু বিশ্ব ক্রিকেটের সঙ্গে তুলনা করেনি।’
অধঃপতনের শুরুটা অবশ্য পাপনের আমল থেকেই। ২০২২ সালে ইতিহাস সেরা র্যাংকিং ছয়ে ছিল বাংলাদেশ। এরপর সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে মাঝের সারি থেকে ছিটকে তলানীতে নেমেছে আইসিসি রেটিং। গত দুই বছরে ৩৭ ওয়ানডে খেলে বাংলাদেশের জয় মাত্র ১১টিতে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দল খারাপ করলে তার প্রভাব পড়বে ক্রিকেটার, কোচ কিংবা ম্যানেজমেন্টের উপর। কিন্তু সেই প্রভাবটা পড়েছে গণমাধ্যমকর্মীদের উপর। শিকার হতে হচ্ছে নানা রকম বিধিনিষেধের। যেন মাঠের ক্রিকেটটা গণমাধ্যম কর্মীরাই খেলেন। বিশ্ব ক্রিকেটের মান থেকে যোজন যোজন পিছনে পড়া বাংলাদেশ ক্রিকেটের তাতে লাভ হবে কতটুকু?
সেকান্দার আলী বলেন, ‘যখন একটা দল ব্যর্থ হয় তখন সবকিছুর উপরে তার প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। সে প্রতিক্রিয়াটা এখন হয়তো সংবাদকর্মীদের উপরও এখন পড়ছে। তারা নিজেদের হাইড করার জন্য এ কাজটা করছে। গণমাধ্যমে এভাবে সীমাবদ্ধ করে দেয়ার অর্থ হলো আপনি শত্রুতা বাড়াচ্ছেন।’
বিশ্ব ক্রিকেটে কেটে গেছে ২৬ বছর। সেটা অভিজ্ঞতা নয় যেন শুধুই সংখ্যা। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে সুযোগ-সুবিধা কিংবা বেতন বেড়েছে টাইগার ক্রিকেটারদের। আর ক্রমেই অবনতি হয়েছে দেশের ক্রিকেটের।