পরের ৭ ম্যাচে টানা ৭ জয়। অজিদের ব্যাটিং-বোলিংয়ের কাছে পাত্তা পায়নি কোন প্রতিপক্ষ। বড় আসরে তারা কতোটা ভয়ানক সেটাই প্রমাণ করে অস্ট্রেলিয়া। আসরে তৃতীয় দল হিসেবে সেমিফাইনালে নাম লেখায় তারা। প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রথম পর্বে প্রোটিয়াদের কাছেই হেরেছিলো কামিন্সের দল। এবার শোধটা নেয়ার পালা। তবে সবশেষ ৫ বারের দেখায় ৪ টিতেই জিতেছে বাভুমার দল। তবে বড় মঞ্চে অস্টেলিয়ার সামনে এসব সমীকরণ খুব একটা প্রভাব ফেলে না। হারানো শিরোপা ফিরে পেতে সার্মথ্যের সবটুকু দিয়ে লড়াই করবে কামিন্স, ম্যাক্সওয়েলরা।
আসরে দক্ষিণ আফ্রিকার শুরু রাজকীয়ভাবে। প্রতিপক্ষকে দুমড়ে মুচড়ে টানা দুই জয় তুলে নেয় তারা। তবে উড়তে থাকা প্রোটিয়াদের মাটিতে নামায় নেদারল্যান্ডস। পরে অবশ্য আবারো ছন্দে ফেরে ডি কক-ক্লাসেনরা। শেষদিকে ভারতের বিপক্ষে হারলেও আসরে দ্বিতীয় দল হিসেবে শেষ চারে ওঠে তারা।
২০১৫ সালে কিউইদের কাছে হারের পর ডি ভিলিয়ার্স-স্টেইনদের কান্নাটা দগদগে ক্ষত হয়েই আছে এখনো। তবে এবার আর ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি চায় না প্রোটিয়ারা। অজিদের হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বমঞ্চের ফাইনালে খেলার স্বপ্ন তাদের।
ভারতের মাটিতে প্রোটিয়াদের ইতিহাস নতুন করে লেখা হবে নাকি অজিরা হারানো শিরোপা ফিরে পেতে আরো এক ধাপ এগিয়ে যায়, সেটি এখন দেখার অপেক্ষা।