ভারত-বাংলাদেশ, সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম 'রোমাঞ্চকর দ্বৈরথ'। কথাটা বলেছিলেন ভারতীয় দলের বর্তমান অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
যদিও ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের হারের পাল্লাই ভারি। তবে সময় গড়ানোর সাথে দৃশ্যপট পাল্টেছে।
বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট হোক কিংবা দ্বিপাক্ষিক সিরিজ- মাঠের লড়াইয়ের তীব্রতা আর স্নায়ুচাপের সাথে তাল মিলিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলে কথার লড়াই। পরিসংখ্যান দেখে উত্তেজনার পারদ বুঝে ওঠা দুঃসাধ্য।
বিপিএলে শান্তর প্রস্তুতি ঘাটতি, নাহিদ রানার টানা ম্যাচ খেলার ধকল কিংবা প্রস্তুতি ম্যাচে হার সব ছাপিয়ে মূল ম্যাচে জয়ের দিকেই চোখ টাইগার ক্যাপ্টেনের।
নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, 'ভারত-বাংলাদেশের ম্যাচে সবসময় একটা এক্সাইটমেন্ট থাকেই। আমার মনে হয় খেলোয়াড়রা এটা নিয়ে খুব বেশি চিন্ত কারে না। খেলোয়াড়রা তাদের প্ল্যান কীভাবে এক্সিকিউট করবে এটা নিয়েই বেশি ফোকাস থাকে। প্র্যাক্টিস ম্যাচে অনেককিছু দেখেছি, সবাইকে বোলিং বা ব্যাটিং করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। সো ইনজেনারেল প্র্যাক্টিসের জন্যই করা। আমার মনে হয় খুব বেশি ইফেক্ট পড়বে।'
একাদশে কাকে রাখবেন আর কাকে রাখবেন না সেটা নিয়ে অবশ্য মধুর সমস্যাতেই পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, 'যারা উপরের দিকে ব্যাটিং করে তাদের লম্বা ইনিংস খেলতে পারাটা খুব জরুরি। উপরে বালো শুরু করতে পারলে একটা বড় রান করা সম্ভব। অবশ্যই উইকেট, কন্ডিশন সবকিছু মেলানোর পর ওইভাবে আমরা ব্যাটিং করার চেষ্টা করবো।'
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে মাত্র একবারের দেখায় নয় উইকেটের বড় হার। অথচ ২০১৭ সালের সেই টুর্নামেন্টেই বাংলাদেশ গড়েছিল সেমিফাইনাল খেলার ইতিহাস।
সবশেষ পাঁচ ম্যাচে তিন দুইয়ে এগিয়ে শান্তরা। কিন্তু সেটা দ্বিপাক্ষিক সিরিজে। বড় আসরে নিয়মিত হট ফেভারিটের তালিকায় থাকা টিম ইন্ডিয়ার বিপক্ষে সেটা কতটুকু কাজে লাগবে তা নিয়ে শঙ্কা আছে ঢের। দুবাইয়ে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের রেকর্ডটাও যে সুবিধার নয়। হারের তিক্ত স্বাদ পেতে হয়েছে দুই ম্যাচেই।
অনিয়শ্চতায় খেলা ক্রিকেটে অবশ্য ইতিহাসই শেষ কথা নয়। এখানে রেকর্ডের পাতা উলট-পালট হয় প্রতিনিয়ত। রিয়াদ-তাসকিন, মুশফিক-মুস্তাফিজ-রিশাদরা তেমন কিছুই করে দেখাবেন এমন প্রত্যাশার ভারে কেটে যাক হারার আগেই হেরে যাবার ভয়।