চট্টগ্রামে দ্বিতীয় দিনটা কাদের? বাংলাদেশের নাকি জিম্বাবুয়ের? স্কোরবোর্ড দেখে খোলা চোখে যে কেউ বলতে পারবেন, স্বাগতিকরাই এগিয়ে। তবু হুটহাট নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা আর চিরায়ত অধৈর্য্যের প্রমাণ আরও একবার দিয়ে গেল বাংলাদেশ।
বোর্ডে এক উইকেটে দুইশ'র কাছাকাছি রান, প্রতিপক্ষের চেয়ে মাত্র ৩৩ রানে পিছিয়ে। এ অবস্থায় যেকোনো দল ছক কষবে লম্বা লিড নিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি নিজেদের হাতে নিয়ে নেয়ার। অথচ বরাবরের মতোই খেই হারালো বাংলাদেশ। দিন যখন শেষ করলো ততক্ষণে স্কোরবোর্ডে যোগ করা গেছে আর ৮৫ রান, এরমধ্যে হারিয়ে ফেলেছে ছয় উইকেট!
অথচ উদ্বোধনী জুটিতে দীর্ঘদিন পর শতাধিক রানের জুটি। তিন বছর পর ফিরে কিছুটা অস্বস্তি নিয়ে ব্যাট চালালেও, ৩৯ রান আসে বিজয়ের ব্যাটে।
মুমিনুলকে সঙ্গ দিয়ে বড় সংগ্রহের দিকেই টেনে নিচ্ছিলেন সাদমান। কিন্তু পরপর দুই বলে দুইজনই সাজঘরে ফিরে, মোমেন্টাম নষ্ট করে দেন। তার আগে টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি আদায় করে ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ১২০ রান করেন সাদমান।
শান্ত-জাকের আলীদের তড়িঘড়ি ফেরার পথ ধরা, মুশফিকের অযাচিত রানআউটের মাশুল গুণে, বড় সংগ্রহের স্বপ্ন ফিকে হয়ে আসতে থাকে বাংলাদেশের। ৬৪ রানের লিড নিলেও তাই খুব একটা স্বস্তি নেই।
তৃতীয় দিনে মেহেদি মিরাজের দিকেই তাকিয়ে থাকবে দল। যতদূর দলকে এগিয়ে নেয়া যায়, তার কাজটা সামলাতে হবে এই অলরাউন্ডারকেই।