ঘরোয়া ক্রিকেটে রান বন্যায় ভাসানো এনামুল জাতীয় দলে হচ্ছেন ফ্লপ। শ্রীলঙ্কা সফরের তিন ইনিংসে এনামুল হক বিজয় আউট হয়েছেন যথাক্রমে ০, ৪ ও ০ রান করে। দেশের প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটের টপ পারফরমারদের একজন হয়েও জাতীয় দলের হয়ে এমন বেহাল দশা হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেন কোচ ওয়াহিদুল গণি।
বিসিবির কোচ ওয়াহিদুল গণি বলেন, ‘যতদিন পর্যন্ত আমরা ঘরোয়া ক্রিকেটের মান ভালো না করবো, ততদিন আমরা মনে হয় না জাতীয় দলে গিয়ে ভালো পারফরম করতে পারবো। তাই ঘরোয়া ক্রিকেটের উন্নয়ন করাটা অত্যন্ত জরুরি।’
ক্রিকেটের সবচেয়ে অভিজাত ফরম্যাট টেস্ট। কিন্তু এই ফরম্যাটই সবচেয়ে বেশি অবহেলিত বাংলাদেশে। অথচ বোর্ড সভাপতি আমিনুল ইসলামের দাবি টেস্ট ক্রিকেটই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পরিচয়। অবকাঠামোগত উন্নয়ন করতে তাই এবার আটঘাট বেধে মাঠে নামার পরিকল্পনা বিসিবির।
বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘যে গ্রাউন্ডগুলো রেডি করা দরকার, আমরা সেগুলো নিয়ে কাজ করছি। আমাদের সবচেয়ে বেশি নজর থাকবে টেস্ট ভেন্যুগুলোর দিকে, সেগুলো আমরা মেরামত করবো।’
সাদা বলের ক্রিকেটে টাইগার ক্রিকেটারদের ব্যর্থতার অন্যতম কারণ হিসেবে টেম্পারমেন্ট আর মানসিকতাকে দায়ী করা হয়। আইসিসির হেম ডেভলমপেন্ট বিভাগে দীর্ঘদিন কাজ করা বর্তমান প্রেসিডেন্ট চান ক্রিকেটারদের পাশাপাশি সারা দেশের কোচদের নিয়েও কাজ করতে। সংস্কার করতে চান খেলার মাঠও। অবশ্য শুধু এতেই শেষ নয়, পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়নের জন্য হচ্ছে কি না সেই তদারিকও করা হবে ট্রিপল সেঞ্চুরি প্রোগ্রামের আওতায়।
আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা জানতে পারবো, কোন প্রোগ্রামে আমরা ভালো করছি, কোন প্রোগ্রামে আমাদের উন্নতি করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে স্কিল একটা জায়গায় থাকে, তবে আসল বিষয়টা হলো এটা মাথার খেলা। আপনি কতটুকু স্টেবল আছেন, মেন্টাল স্টেটমেন্ট কতটুকু পরিষ্কার, সেই জায়গাগুলোতে আমাদের কাজ করা উচিৎ।’
পরিকল্পনা আগেও হয়েছে এখনো হচ্ছে তবে তার বাস্তবায়ন হবে কি হবে না সেই ফলাফল পাওয়ার ক্ষেত্রে আপাতত অপেক্ষাই বড় সমাধান।