দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশকে চোখ রাঙাচ্ছে ইনিংস হার

দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচের একটি মুহূর্ত
ক্রিকেট
এখন মাঠে
0

কলম্বোতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে ইনিংস হার চোখরাঙানি দিচ্ছে বাংলাদেশকে। দিন শেষে ৪ উইকেট হাতে নিয়ে ৯৬ রানে পিছিয়ে সফররতরা। ব্যাট হাতে এদিনও ব্যর্থ এনামুল হক বিজয়-মুমিনুল হকরা।

তৃতীয় দিনের শুরুটা রীতিমতো স্বপ্নের মতোই করে বাংলাদেশ। তাইজুল-নাঈম হাসানদের আঘাতে একে একে প্যাভিলিয়নে ফেরেন লঙ্কান ব্যাটাররা। স্বাগতিকদের শেষ ব্যাটার আসিথা ফার্নান্দোকে ফিরিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৭তম ফাইফার সম্পন্ন করেন তাইজুল।

২১১ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নামেন এনামুল হক বিজয় ও সাদমান ইসলাম। গেলো কয়েক ইনিংসের খোলসবন্দী বিজয় যেন ভুলেই গেলেন ফরম্যাটটি টেস্ট ও ইনিংস হার এড়ানোর পথটাও অনেক লম্বা। শুরু থেকেই ব্যাট চালিয়ে খেলে বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি হাঁকান তিনি।

যদিও বিজয়ের দুর্বলতা প্রকাশ পায় জলদিই, নিজেই রানকে বিশের কোটায়ও নিতে পারলেন না ডানহাতি ব্যাটার। ফিরেছেন শর্টবলে ক্যাচ দিয়ে। তাকে অনুসরণ করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন সাদমানও।

লঙ্কান ফ্ল্যাট পিচে সবাই তাকিয়ে ছিল নাম্বার থ্রি মুমিনুলের ব্যাটের দিকে। গলে শান্ত-মুশিদের সাফল্যে ঢাকা পড়লেও, কলম্বোতে ম্যাচ বাঁচাতে যেমন ইনিংস দরকার ছিল তা পারলেন না বাংলার ব্র্যাডম্যান। অফ স্পিনে দুর্বলতা আবারো যেন চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার নিরীহ বলে খোঁচা মেরে স্লিপে যেন ক্যাচ প্র্যাকটিস করালেন মিমি।

দলপতি শান্তকেও এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেছেন লঙ্কান দলপতি ডি সিলভা। চার উইকেট হারিয়ে দল যখন ধুঁকছে, আশা জাগিয়েছিল মুশফিক-লিটনের জুটি। যদিও জয়সুরিয়ার স্পিনে মি. ডিপেন্ডেবল যেভাবে বোল্ড হয়েছেন, হয়তো নিজেও অবাকই হবেন যে তার ঝুলিতে ৯৮ টেস্টের অভিজ্ঞতা আছে।

সফররতদের তৃতীয় দিনের শেষ পেরেক যেন ঠুকেছেন মেহেদী মিরাজ। তিনি আউট হবার সাথে সাথেই দিনের খেলার সমাপ্তি টানেন আম্পায়াররা। একই সাথে হাঁফ ছেড়েই যেন বাঁচে টাইগার ড্রেসিংরুম, কারণ হারের সময়টা আরো কিছুটা দীর্ঘায়িতই হলো কিনা!

এএইচ