তৃণমূল থেকে ক্রিকেটার বাছাইয়ে মনোযোগী হচ্ছে বিসিবি

বিপিএলের আগেই একাধিক টুর্নামেন্ট

বিসিবি পরিচালক আকরাম খান
ক্রিকেট
এখন মাঠে
0

চট্টগ্রাম বিভাগের ক্রিকেটারদের নিয়ে শিগগিরই একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে বিসিবি। জানিয়েছেন বোর্ড পরিচালক আকরাম খান। তৃণমূল থেকে ক্রিকেটার বাছাইয়ে মনোযোগী হচ্ছে বোর্ড। বিপিএলের আগে এনসিএল টি-টোয়েন্টিতেও প্রতিভাবানদের খোঁজে থাকবে বিসিবি। আগামী বিপিএলকে বিতর্কমুক্ত করতে এখনই সতর্ক সবাই।

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও বোর্ড পরিচালক আকরাম খান। বললেন, শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তানের তুলনায় বাংলাদেশে বেশি ট্যালেন্টেড খেলোয়াড় আছে। কিন্তু খেলার সুযোগ না পাওয়ায় তাদের বের করে আনা সম্ভব হচ্ছে না।

সাবেক অধিনায়ক ও বোর্ড পরিচালক আকরাম খানের এমন দাবি মেনে নেয়া যায়। আবার হেসে উড়িয়েও দেয়া যায়। তবে প্রতিভার অপচয় কিংবা মাঠ সংকটের স্বীকারোক্তি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নির্মম বাস্তবতাই।

তাই বলে চিরদিনই তো এভাবে চলতে পারে না একটা দেশের ক্রিকেট। আর তাই, বুলবুলের নেতৃত্বাধীন বিসিবি নজর দিয়েছে তৃণমূল ক্রিকেটে। ঢাকা থেকে ক্রিকেটকে সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে জেলা ও বিভাগীয় লিগ চালুর উদ্যোগ নিচ্ছে বিসিবি। এরইমধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে আলাদা টুর্নামেন্ট আয়োজনের ছকও সাজিয়ে ফেলেছে ক্রিকেট বোর্ড।

বিসিবির পরিচালক আকরাম খান বলেন, ‘চট্টগ্রামে একটা রিজিওনাল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হবে। সেটা হচ্ছে চট্টগ্রামে যতগুলো জেলা আছে তাদের অংশগ্রহণে টুর্নামেন্ট হবে। ওটার খেলোয়াড়দের জন্য একটা ভালো অপরচুনিটি হবে। যদি ওরা ভালো করে তাহলে এখানে এসে ভালো করার সুযোগ আছে। সবাইকে আমরা ফ্যাসিলিটিজ দিতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘চিটাগং ডিভিশনে ভালো ভালো খেলোয়াড় আছে। নোয়াখালী আছে, ফেনী আছে। তো বেস্ট প্লেয়াররা খেলবে।’

সিনিয়র ক্রিকেটেও সংকট আছে। তাই তো বিপিএলে দেশি ক্রিকেটারের জোগান দিতে এনসিএল টি-টোয়েন্টির আয়োজন করছে বিসিবি। পর্যাপ্ত ক্রিকেটার থাকলে আগামী বিপিএলে বাড়বে ফ্র্যাঞ্চাইজির সংখ্যাও।

আকরাম খান বলেন, ‘সেপ্টেম্বরের শুরুতে আমরা ওটা দিয়ে করবো। ওখানে যারা ভালো করবে তাদের নাম বিপিএলের লিস্টে আসবে। অবশ্যই এটা একটা ভালো ‍সুযোগ।’

আগের বিপিএলগুলো আয়োজন করে যে পরিমাণ অর্থ কামিয়েছে বিসিবি, তারচেয়ে বেশি কুড়িয়েছে দুর্নাম। এবার তাই সতর্কভাবে পা ফেলছে বোর্ড।

এ বিষয়ে বিসিবির এ পরিচালক বলেন, আমরা কিছু বেনিফিটেড কম হলেও প্লেয়ারদের যদি ফাইন্যান্সিয়ালি সিকিউর রাখা যায় আমরা যদি দুর্নাম থেকে বাঁচতে পারি তাহলে সেটা ভালো। দুটা জিনিস ভালো লেগেছে। একটি হলো নোয়াখালী ফ্যাঞ্চাইজি হওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বিদেশ থেকেও এক দুইটা প্রস্তাব এসেছে। এভাবে করতে পারলে সবার আগে খেলোয়াড়রা ফাইন্যান্সিয়ালি বেনিফিটেড হবে। দেশ ভালো ক্রিকেটার পাবে, ক্রিকেটার স্ট্যান্ডার্ড বাড়বে। এটা করতে পারলে ইনশাআল্লাহ আমরা সাকসেসফুল হবো।’

বোর্ডে পরিবর্তন, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট কিংবা যেকোনো ভাবনার বিপরীতে ডিসেম্বর-জানুয়ারিতেই বিপিএল আয়োজন করতে বদ্ধপরিকর বিসিবি।

এএইচ