প্রেমাদাসা যেন সাক্ষী এক ভাঙনের। একদিন আগেই এ মাঠে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছিল বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ, সঙ্গে আত্মবিশ্বাসটাও। সেই একই মঞ্চে দ্বিতীয় ওয়ানডে। টানা সাত ওয়ানডেতে জয় দেখেন না মেহেদী হাসান মিরাজরা। পিঠ ঠেকে গেছে দেয়ালে।
ম্যাচটা তাদের জন্য শুধুই আরেকটা ওয়ানডে নয়, সিরিজ বাঁচানোর লড়াইও বটে। যেখানে জয় মানে টিকে থাকা আর হার মানেই সিরিজ লঙ্কানদের হাতে তুলে দেয়া।
জাতীয় দলের ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম বলেন, ‘পরবর্তী ম্যাচটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যদি আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারি তাহলে আমরা সিরিজে ফিরতে পারবো।’
বাঁচা মরার লড়াইয়ে নামার আগে মিরাজদের পাশে থাকবেন না প্রধান কোচ ফিল সিমন্স। চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে যাচ্ছেন যুক্তরাজ্যে। ফিরবেন ওয়ানডে সিরিজ শেষে। তবে যাওয়ার আগে কোচ কিছু টোটকাও দিয়ে গেছেন তার শিষ্যদের।
তানজিদ তামিম বলেন, ‘কোচ আমাদের কিছু তথ্য দিয়ে গেছেন। শেষ ম্যাচে আমরা বাজেভাবে কলাপ্স করেছি। একটা বিষয় বেশি গুরুত্বপূর্ণ যে, যারা সেট হবে তাদের শেষ করে আসতে হবে।’
প্রেমাদাসার উইকেট একটু ধীরগতির, সন্ধ্যায় পড়তে পারে শিশির। এই মাঠের শেষ পাঁচ ওয়ানডের পরিসংখ্যান বলছে, এখানে টসই যেন ম্যাচের অর্ধেক ফলাফল নিশ্চিত করে দেয়।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জিততে হলে বাংলাদেশের টপ-অর্ডার ব্যাটারদের নিতে হবে দায়িত্ব, ব্যাটের আঁচড়ে আকতে হবে আস্থার ছবি। শান্ত, হৃদয়, লিটনসহ প্রত্যেককে হতে হবে স্থির নদীর মতো, পাল তোলা নৌকা যেন চাপেও দিক না হারিয়ে পৌঁছায় তীরে।
আর পেসারদের আগুন ঝরা বোলিংয়ে এনে দিতে হবে সূচনা। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচটা যে হতে যাচ্ছে বেঁচে থাকার গল্প, ঘুরে দাঁড়ানোর কবিতা, প্রেমাদাসার আলো-আঁধারিতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া দলটার আবারও নতুন করে স্বপ্ন দেখা।