ইতিহাস গড়ে লঙ্কার মাটিতে সিরিজ নিশ্চিত করতে লক্ষ্যটা ৩০০ ছুঁইছুঁই বাংলাদেশের তানজিদ তামিমের ব্যাটে শুরুটাও হলো উড়ন্ত। প্রায় দেড়শ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট চালালেও তৃতীয় ওভারেই আসিথা ফার্নান্দোর গতিময় ইয়র্কারের সামনে আত্মসমর্পণই করলেন জুনিয়র তামিম।
চলতি সিরিজেই অধিনায়কত্ব হারানো নাজমুল শান্ত টিকলেন মাত্র তিন বল, রানের খাতাও খুলতে পারলেন না। উইকেটে থাকা সামান্য সময়েই চামিরা যেভাবে শান্তকে নাচিয়েছেন, হাইলাইটস দেখে অবশ্যই তিনি লজ্জা পেতে বাধ্য।
তৃতীয় উইকেটে ইমন-হৃদয়ের ব্যাটে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দিলেও জোর করে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হন ইমনও। আশার বাতি জ্বালিয়েছিলেন অধিনায়ক মিরাজ। সবাই যখন তাকিয়ে তার দিকে, ক্যাপ্টেন্স নকের বদলে তিনি খেললেন উদাসীন শট। যেন তামিম-শান্তদের সাথে ড্রেসিংরুমে গিয়ে বসার তাড়া তার।
শামিমও টেকেননি খুব বেশি সময়। স্রোতের বিপরীতে টেস্ট মেজাজে খেলে তাওহিদ হৃদয় ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ফিফটি তুলে নেবার পরেই বোল্ড হয়ে ফেরেন চামিরার বলেই। হৃদয়ের বিদায়েই কার্যত নিশ্চিত হয় সফররতদের হার।
লেজের সারিতে জাকের আলী অনিকের ২৭ রান শুধু হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। শেষ ব্যাটার হিসেবে তানভীরের বিদায়ে ৬২ বল হাতে রেখেই হার নিশ্চিত হয় মিরাজবাহিনীর
এর আগে হেরে বোলিংয়ে নেমে তানজিম সাকিব শুরুতেই ওপেনার মাদুস্কাকে ফেরান। এরপর আঁটসাঁট বোলিংয়ে শতরানের মধ্যেই তিন উইকেট তুলে নিয়ে স্বাগতিকদের চাপে ফেলেন তানভির-মিরাজরা।
এরপর নিশাঙ্কা আর কুশল মেন্ডিসের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় শ্রীলঙ্কা। আর অধিনায়ক আসালাঙ্কা ও কুশাল মেন্ডিসের শতরানের জুটিতে বড় রানের ভিত পায় স্বাগতিকরা। মেন্ডিস তুলে নেন ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি, আসালাঙ্কার ব্যাটেও আসে ফিফটি। শেষদিকে হাসারাঙ্গা ও চামিরার ক্যামিওতে ৭উইকেটে ২৮৫ রানের সংগ্রহ পায়। তাসকিন ও মেহেদী মিরাজ দুই উইকেট করে পেলেও মুস্তাফিজ ছিলেন উইকেটশূন্য।