হার পরিণত হয়েছে অভ্যাসে। তবে দিন যত যাচ্ছে ততই হারের ব্যবধানও বাড়ছে। অর্থাৎ, এখন আর সম্মানজনক হারের দিনও নেই বাংলাদেশের। শ্রীলঙ্কার কাছে যেমন রীতিমতো উড়ে গেলেন লিটন-মিরাজরা!
টেস্ট, ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি, ব্যর্থতার বৃত্তে আটকে আছে বাংলাদেশ। ক'দিন আগেও যাদের চোখে চোখ রেখে লড়াই করা যেত, সেই লঙ্কানরাও হয়ে উঠেছে প্রবল প্রতাপশালী প্রতিপক্ষ। বাংলাদেশ যেন নবীন কোন দল, যেন কেবলই বল-ব্যাট হাতে নিয়েছে!
যদি না হয়, তাহলে লিটন-হৃদয়রা কেন ব্যাট চালাতে ভুলে গেলেন? ইমন-তামিমের মারকুটে শুরুর পরও কেন রানের চাকা থেমে গেল? ১১ বলে ৬, ১৩ বলে ১০, এসব কি টি-টোয়েন্টি ইনিংস?
শেষপর্যন্ত উইকেটে থেকে নাঈম শেখের ২৯ বলে ৩২ কিংবা মেহেদি মিরাজের ২৩ বলে ২৯ রানের ইনিংসই বা এই সংস্করণের সাথে কতটা মানানসই? শামীম পাটোয়ারী দু'টো ছক্কা না হাঁকালে স্কোরবোর্ডে উঠতো না দেড়শ'ও।
এখনকার ক্রিকেটে এই রান কতটা মামুলি, হাতে-কলমে সেটি বুঝিয়ে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। ইনিংসের প্রথম তিন বলে তিন বাউন্ডারিতে শুরু। ১৪, ১৬, ১৬, ১৮, ১৪- প্রথম পাঁচ ওভারে শ্রীলঙ্কার রান তোলার গতি। পাওয়ার প্লেতেই তাদের সংগ্রহ ৮৩ রান! তাসকিন-তানজিমরা যেন অসহায় দর্শক!
ম্যাচ কার্যত ওখানেই শেষ। বাকিটুকু কেবলই আনুষ্ঠানিকতা আর লিটনদের হারের অপেক্ষা। ১৬ বলে ৪২ করা নিশাঙ্কা, ৭৩ রানের ইনিংস খেলা কুশল মেন্ডিসরা আউট হলেও, একবারও ম্যাচে ফিরতে পারেনি বাংলাদেশ।
এই সংস্করণটা কখনোই সেভাবে রপ্ত করতে পারেনি বাংলাদেশ। দিনে দিনে আরো অবনতিই হচ্ছে। যেন ক্রমাগত পেছনের দিকে ছুটছে দেশের ক্রিকেট।