কিছুটা কালচে উইকেট। বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়মিত দর্শক হয়ে থাকলে মিরপুর শের-ই বাংলার উইকেট হিসেবে চোখে ভেসে ওঠার কথা। সফরকারী দলের জন্য রীতিমতো দুঃস্বপ্ন যেন এ স্টেডিয়াম। ২০২১ সালে এখানেই ধরাশায়ী হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের মতো দল। ২০২৫ সালে এসে পাকিস্তানের অধিনায়ক আর কোচের ভাষ্য, এমন এক উইকেটে খেলে টি-টোয়েন্টির প্রস্তুতি নেয়া সম্ভব নয়।
মিরপুর শের-ই বাংলার উইকেট নিয়ে প্রশ্ন আছে খোদ ক্রিকেটারদের মধ্যেই। সে কারণেই কি-না, পাকিস্তান সিরিজের আগে দীর্ঘ ১৫ মাস টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দেখেনি হোম অব ক্রিকেট। তবে ফেরাটাও খুব বেশি সুখকর হয়নি। সিরিজ জিতলেও মিরপুরের উইকেটের ভাগ্যে জুটেছে সেই পুরাতন অপবাদ।
আরও পড়ুন:
অবশ্য অপবাদকে একেবারে মিথ্যে বলারও সুযোগ নেই। ২০১৯ সালে এ মাঠে টি-টোয়েন্টিতে গড় স্কোর ছিল ১৬৮। ২০২০ সালে ছিল ১৫৯। সেটাই ২০২৩ সালে নেমে আসে ১৩৭ দশমিক ৫ রানে। এরপর পাকিস্তান সিরিজের চিত্রটা সবারই জানা। ৩ ম্যাচ পর এখানে গড় স্কোর ১৪০ দশমিক ৬।
সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেখানে প্রস্তাবিত সব ভেন্যুর তুলনায় বেশ পিছিয়ে মিরপুরের শের-ই বাংলা স্টেডিয়াম। শ্রীলঙ্কার প্রস্তাবিত ৫ মাঠের মধ্যে ৪টিতেই টি-টোয়েন্টির গড় স্কোর মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামের তুলনায় অনেকটা বেশি।
আর সাম্প্রতিক সময়ে আইপিএলের কল্যাণে ভারতের মাঠগুলো রীতিমতো রানের স্বর্গ। পরিসংখ্যান বলছে কলকাতার ইডেন গার্ডেন, মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে, আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি কিংবা হায়দ্রাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টির প্রথম ইনিংসে গড় স্কোর ১৭০ এর বেশি। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে সেটা ২২০ পর্যন্ত।
বৈশ্বিক বিচারে অন্য অনেক কিছুর মতো মাঠের গুণেও যেন পিছিয়েই আছে বাংলাদেশ। সেখানে সিরিজ জিতে তৃপ্তি মিললেও ক্রিকেটারদের উন্নতি যেন দূরের গল্প। এমন চিত্র বদলানোর দিকে ক্রিকেট বোর্ড কবে মনোযোগ দেবে, সেটার অপেক্ষায় ক্রিকেট ভক্তরা।