আজ (বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল) বিকাল তিনটায় বেলুন উড়িয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন প্রধান অতিথি থেকে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন। পরে মাঠে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিল্পীরা ঐতিহ্যবাহী মনোজ্ঞ নৃত্য পরিবেশন করেন।
এসময় চট্টগ্রাম অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার শারমিন জাহান, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, রাঙামাটি জোন কমান্ডার ও পুলিশ সুপার ড এসএম ফরহাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
স্টেডিয়ামের গ্যালারির দর্শকেরা ফুটবল উন্মাদনায় মেতে উঠলেও প্রথমার্ধে কোন দলই কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে বান্দরবান দলের ৯ নম্বর জার্সি পরিহিত শৈমংসিং মারমা একমাত্র গোল করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যায়। পরে তাকে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ ঘোষণা দেন কর্তৃপক্ষ। আগামীকাল শনিবার চট্টগ্রাম জেলা দলের বিপক্ষে লড়বে খাগড়াছড়ি।
টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে চট্টগ্রাম, তিন পার্বত্য জেলা, নোয়াখালী, কুমিল্লাসহ বিভাগের ১১টি জেলা দল। দলগুলো দুটি জোনে ভাগ হয়ে রাঙামাটি ও কুমিল্লা ভেন্যুতে খেলবে। পরে উভয় জোন চ্যাম্পিয়ন দল শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে।
দীর্ঘ ২৭ বছর পর এই আয়েজনে মাঠে ক্রীড়ামোদী দর্শকদের ঢল নামে। শিশু কিশোর, নারী পুরুষ নির্বিশেষে সববয়সী মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এর আগে সর্বশেষ ১৯৯৭ সালে এই শহরটি হয়েছিল ফুটবল আসরের গর্বিত ভেন্যু।
এই টুর্নামেন্টে তরুণ প্রজন্মকে মাদক ও সন্ত্রাস থেকে দূরে রাখবে বলে প্রত্যাশা আয়োজকদের।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ বলেন, 'আমরা আশা করছি খেলাধুলার মাধ্যমে যে শৃঙ্খলা, যে ডিসিপ্লিনের চর্চা হয় সেটা আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে চর্চা করবো। পাশাপাশি মাদকসহ অন্যান্য ক্ষতিকারক দিক থেকে এই খেলাধুলা আমাদেরকে বিরত রাখতে সহায়তা করবে।'
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন বলেন, 'এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, আমরা চাই খেলাধুলা হোক আমাদের সমাজের ইতিবাচক শক্তি। যা মাদক, সহিংসতা ও অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।'