বাংলাদেশের ফুটবল অঙ্গনে একেবারেই ব্যতিক্রম এবারের ঈদুল আজহা। কারণটা আর কেউ নন, দেশের ফুটবলের পোস্টারবয় হামজা চৌধুরী। দলের সঙ্গে দেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো ঈদ উদযাপন করছেন তিনি। সাথে আছেন ফাহমিদুল ইসলাম, কাজেম শাহরাও। তাদের অন্তর্ভুক্তিতে ফুটবল নিয়ে দর্শক আগ্রহ এখন তুঙ্গে।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বাফুফে থেকে পাওয়া উপহারের পাঞ্জাবি পরে ঈদের নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে হোটেল থেকে বের হয় টিম বাংলাদেশ। পথে ক্ষুদে দর্শকের অটোগ্রাফের আবদার মেটান হামজা। ভক্তের দাবি মিটিয়ে নামাজ আদায় শেষে বাইরে বের হলে, তাকে কাছে পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন ভক্তরা।
কেবল বিশেষ দিন বলে নয়, প্রতি মুহূর্তেই যেন হামজার প্রতি অফুরান ভালোবাসার প্রমাণ দিয়ে যাচ্ছেন ভক্ত সমর্থকরা। দলের ম্যানেজার আমের খান জানালেন, ভক্তদের ভালোবাসায় অভিভূত লেস্টার সিটি তারকাও।
তিনি বলেন, ‘শুধু আজকের নামাজ পড়া নিয়ে না। আসার পর থেকে হামজা যেটা পাচ্ছে, যে সময়টা পার করছে, যে ক্রেজটা তৈরি হয়েছে এটা সে উপভোগ করছে।’
হামজা যেন জাদুর কাঠি নিয়ে এসেছেন বাংলাদেশ দলে। তাইতো সতীর্থদের কণ্ঠেও তার স্তুতি। আর ফুটবলের পুনর্জাগরণে অভিভূত ডিফেন্ডার ঈসা ফয়সাল।
তিনি বলেন, ‘হামজা ভাই আসার পর অনেক ক্রাউড দর্শক। তারা আমাদের অনেক সাপোর্ট করছে৷’
দেশের ডাকে আরো একটি ঈদ ঘরের বাইরে। পেশাগতভাবে অভ্যস্ত হলেও দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে রসায়ন দেখে নিশ্চিতভাবেই মনে হবে, সবাই যেন একটি পরিবার। আর এই পরিবারকে সাথে নিয়ে সিঙ্গাপুর বধের স্বপ্ন খেলোয়াড়দের।
তারা জানান, আমরা দেশের জন্য পরিবার থেকে দূরে আছি। এটাও একটা ফ্যামিলি। এই স্যাক্রিফাইস আমরা করছি সিঙ্গাপুর ম্যাচকে কেন্দ্র করে যাতে দেশবাসীকে একটি উপহার দিতে পারি। আমাদের মেইন ফোকাস সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে একটি ভালো ফলাফল নিয়ে জয় লাভ করা।
এদিকে ঈদ আনন্দের মধ্যেই রাতে শোকের ছায়া নেমে আসে গোলকিপার মিতুল মারমার পরিবারে। ইহলোক ত্যাগ করেছেন মিতুলের বড় ভাই, যদিও দেশের হয়ে দায়িত্ব পালনের ব্রত নিয়ে দলের সঙ্গেই রয়েছেন তিনি।