দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জয়ী নারীদের সামনে এবার এশিয়ার মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের হাতছানি!
তার আগে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে পেরোতে হবে বাছাইপর্বের কঠিন বাধা। হারাতে হবে মিয়ানমার, বাহরাইন আর তুর্কমেনিস্তানের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে।
প্রতিযোগিতাকে সামনে রেখে ২৩ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাফুফে। বাদ পড়েছেন গোলকিপার মেঘলা রানী, ফেরদেৌসী আক্তারসহ মিডফিল্ডার শান্তি মার্ডি। দলে সুযোগ পেয়েছেন গোলরক্ষক মিলি আক্তার, স্বর্ণা রানী এবং নিলুফা ইয়াসমিন।
এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টেও পিটার বাটলারের ঘোষিত দলে জায়গা হয়নি অভিজ্ঞ সাবিনা, সানজিদা, মাসুরাদের মতো ফুটবলারদের।
পিটার বাটলার বলেন, ‘প্রতিভাবান কিছু নারী ফুটবলার পেয়েছি। পর্যাপ্ত সুযোগ দিলে তারা আরও উন্নতি করবে। কাজটা চ্যালেঞ্জিং হলে নতুনদের জন্য উপভোগ্য। যদিও এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে অনেকেই একমত পোষণ করে না। কিন্তু এটাই আমার ফুটবলীয় দর্শন।’
র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের থেকে এগিয়ে থাকা প্রতিপক্ষ মিয়ানমার চেনা হলেও বাকি দুই দল বাহরাইন এবং তুর্কমেনিস্তান নতুন। সেই চ্যালেঞ্জ পাড়ি দিতে জর্ডানে ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষে কতটা আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশের নারীরা?
বাংলাদেশ ফুটবল দলের অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার বলেন, ‘কোথায় ভুল হয়েছে, কোথায় ঘাটতি ছিল সেগুলো আমাদের বোঝার ক্ষমতা হয়েছে জর্ডান আর ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে খেলার কারণে। বাহরাইন, তুর্কেমেনিস্তান, মিয়ানমারের সঙ্গে খেলবো, ফাইট করবো। ইনশাআল্লাহ ফাইট করে আমরা যেন অস্ট্রেলিয়া যেতে পারি।’
বাফুফে নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, ‘মিয়ানমার অনেক বেশি শক্তিশালী। তারা শুধু র্যাংকিং না, তারা পাঁচবার নারী এশিয়া কাপ খেলেছে। তাদের ঘরের মাঠে তারা অনেক বেশি অ্যাডভান্টেজ পাবে। যে দল এখন গঠন করা হয়েছে তা সিনিয়র জুনিয়র নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। আমি মনে করি তারা অনেক শক্তিশালী দল।’
২৯ জুন থেকে শুরু হবে বাংলাদেশের মিশন। ধারাবাহিকভাবে বাহরাইন, মিয়ানমার এবং তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে লড়বে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।