নিজেদের ট্রফিকেসে আছে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের ট্রফি, অন্যদিকে অতৃপ্তি হলো গোটা এশিয়ার বড় আঙিনায় এখনও নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। নারী এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের বৈতরণীও পেরুনো হয়নি এখনো।
গ্রুপের তিন দলের মধ্যে ফিফা র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের পেছনে কেবল তুর্কমেনিস্তান। বাছাইয়ের আট গ্রুপের সেরা আট দল পাবে মূল পর্বে খেলার টিকেট। বাংলাদেশের জন্য তাই পথটা মসৃণ নয় মোটেও। কঠিন পথে ছোটার আত্মবিশ্বাস বাটলার খুঁজে নিচ্ছেন গত কয়েক মাসের সফরের পারফরম্যান্সের দিকে তাকিয়ে।
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের হেড কোচ পিটার বাটলার বলেন, ‘সীমিত সুবিধার মধ্যেই ফেডারেশন র্যাংকিং এর উপরে থাকা দলগুলোর বিপক্ষে ম্যাচের আয়োজন করেছিলো সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া ও জর্ডানের বিপক্ষে। সব মিলিয়ে এই টুর্নামেন্টে সবাই পুরোপুরি আত্মবিশ্বাস ও ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে শুরু করতে চায়।’
টুর্নামেন্টের প্রথম বাঁধা বাহরাইন। তিন প্রতিপক্ষকে বিশ্লেষণ করে সেই প্রতিপক্ষকেই শারীরিকভাবে শক্তিশালী মানছেন বাটলার। যদিও সাফ জয়ী কোচ অবশ্য সন্তুষ্ট নিজেদের প্রস্তুতি নিয়েও।
তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমরা পেশাদার মনোভাব নিয়ে প্রস্তুতি নিয়েছি। নিজেদের কাজগুলো করেছি। আমাদের ভিডিও অ্যানালিস্ট সব প্রতিপক্ষ নিয়ে বিশ্লেষণ করছে। আমি মনে করি ফুটবল যেকোনো সময় আপনাকে বিস্মিত করতে পারে।’
সবশেষ তিন ম্যাচেই জয়হীন বাহরাইনের মেয়েরা। এরপরেও কোচ মোহাম্মেদ আদনান হুসেইনের কণ্ঠে নিজেদের মেলে ধরার প্রতিশ্রুতি।
বাহরাইন কোচ মোহাম্মেদ আদনান হুসেইন বলেন, ‘সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ যে আমরা এখানে আসতে পেরেছি। অভিজ্ঞ ও নতুনের মিশেল আছে আমাদের দলে। আশা করি আমরা ভালো কিছু মেলে ধরতে পারবো।’
বাছাই পেরিয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের মূল মঞ্চে খেলার বিস্ময় মেয়েরা জন্ম দিতে পারবে কিনা, সে প্রশ্নের উত্তর আপাতত সময়ের হাতে তোলা। তবে বাটলারের বিশ্বাস, রিপা-মনিকা ঋতুপর্ণারা পারবেন কঠিন সে পথ পাড়ি দিতে।