‘আপনারা আমাদের ওপর বিশ্বাস রাখবেন’— হাতিরঝিল অ্যাম্ফিথিয়েটার থেকে ঋতুপর্ণা চাকমা যখন এমন একটা আহ্বান জানিয়েছেন, তখন আকাশে রাতের নীরবতা। পুরো দেশের বেশিরভাগ মানুষই রাতের ঘুমে।
ঋতুপর্ণা-আফিদারা যেন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন এক খেলাপাগল জাতিকে জানাতে চাইলেন, এখানেই শেষ নয়। পথ বাকি আছে আরো অনেকটা। আর সেটার দৌড় অলিম্পিক কিংবা বিশ্বকাপ পর্যন্ত।
একেকজনের শুরুটা একেক জায়গা থেকে। কেউ এসেছেন পার্বত্য চট্টগ্রামের সবুজ প্রকৃতি আর প্রতিকূলতা দূর করে। কেউ পেরিয়ে এসেছেন সামাজিক প্রতিবন্ধকতা। সব ছাপিয়ে তারা এখন বাংলাদেশের পতাকার বাহক।
সাফ জয়কে কিছুটা অভ্যাসে পরিণত করেছেন তারা আগেই। মিয়ানমারে চ্যালেঞ্জ ছিল অনেক। জীবনের স্ক্রিপ্টে যে মেয়েরা জিতে এসেছে, তাদের ফুটবলে থামায় এমন সাধ্য হয়তো নেই কারো।
র্যাংকিং কেবলই একটা সংখ্যা— সেটাই যেন প্রমাণ করতে চাইলেন ঋতুপর্ণা, আফঈদা থেকে শুরু করে বাকি ফুটবলাররা। ৩ ম্যাচেই জয় দিয়ে বাংলাদেশের মেয়েরা নিশ্চিত করলেন এশিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ স্তরে বাংলাদেশের নাম।
অবশ্য স্বপ্নটাকে এখানেই থামছে না নারীদের। আফঈদা আর ঋতুপর্ণা অন্তত সেটাই জানান দিলেন অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে। পথটা অবশ্য একেবারেই সহজ না।
এশিয়ান অঞ্চলে গিয়ে নারী ফুটবলের পরাশক্তি জাপান, অস্ট্রেলিয়া কিংবা দুই কোরিয়ার মতো দেশের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে হতে পারে পিটার বাটলারের শিষ্যদের।
আছে অস্ট্রেলিয়ান কন্ডিশনে ম্যাচ খেলার চ্যালেঞ্জও। তবে সবকিছু ছাপিয়ে বিশ্বকাপের স্বপ্নে বিভোর বাংলাদেশের মেয়েরা।