নারী ফুটবলারদের জন্য আধুনিক আবাসন ব্যবস্থার পরিকল্পনা বাফুফের

বাফুফে ভবন
ফুটবল
এখন মাঠে
0

এশিয়ান কাপের টিকিট কেটে ইতিহাস গড়া নারী ফুটবলারদের জন্য আধুনিক আবাসন ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। তবে অনেক আগেই আবাসন ব্যবস্থা উন্নত করা দরকার ছিল বলে মনে করেন সাবেক অধিনায়ক ডালিয়া আক্তার। তবে শুধু আবাসন নয়, প্রায় দেড় যুগ পর ফেডারেশনের ভবনটিও সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানায় বাফুফে।

দেশের ফুটবল পরিবর্তনের অন্যতম কারিগর নারী ফুটবলাররা। তবে ২০০৮ সাল থেকে বাফুফে ভবনে থাকা মান্ডা, শামসুন্নাহারদের আবাসিক ব্যবস্থা নিয়ে বারবারই প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে বাফুফে। তবে আর্থিক সংকট আর অন্য ইস্যুতে প্রতিবারই ধামাচাপা পড়েছে নারীদের স্বাস্থ্যকর বাসস্থানের বিষয়টি।

তবে যারা দেশের ফুটবলকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে তাদের জন্য বাফুফের এমন আচরণ মোটেই কাম্য নয় বলছেন নারী দলের সাবেক অধিনায়ক ডালিয়া আক্তার।

ডালিয়া আক্তার বলেন, ‘মেয়েদের দলটাকে এত অবহেলার দৃষ্টিতে দেখবেন না। এখন বলতে পারেন যে না আমরা অবহেলার দৃষ্টিতে দেখছি না। সেটাতো প্রমাণ করছেন বারবার। ওদেরকে ভালো ভেন্যু দিচ্ছেন না, ভালো একটা অ্যাকোমোডেশনের ব্যবস্থা করছেন না, ভালো ফুডিং করছেন না।’

শুরুতে নারী ফুটবলার সংখ্যা কম থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অর্ধশতকে। তবে এবার নারী ফুটবলারদের জন্য অত্যাধুনিক আবাসনের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা করছে বাফুফে।

বাফুফের প্রকিউরমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, ‘মেয়েদের কীভাবে রাখা হবে, তারা আদৌ এখানে থাকবে কি না, সেটা নিয়েও আমাদের পরিকল্পনা আছে। ভবিষ্যতে আমরা অন্য জায়গাতেও নিয়ে যেতে পারি। ওখানেও যদি থাকে সেটাও অত্যাধুনিকভাবে রেনোভেশন হবে, তা আমাদের পরিকল্পনায় আছে।’

তবে শুধু নারী ফুটবলারদের জন্য উন্নতমানের আবাসন ব্যবস্থা নয়, প্রায় দুই দশক আগে নির্মাণ বাফুফে ভবনও লাগবে নতুনত্বের ছোঁয়া। কাজী সালাউদ্দিনের আমলে সংস্কারের কথা থাকলেও পরে তা বাস্তবে রূপ নেয়নি। তবে এবার তাবিথ আউয়ালের কমিটি সেই কাজ করতে মরিয়া।

জাকির হোসেন বলেন, ‘ফিফার দেয়া ফান্ড ব্যবহার করে প্রতিটি রুমে রেনোভেশনের জন্য ভালো একটা উদ্যোগ আমরা নেবো।’  

এ সংস্কার প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থ যোগান দেবে এএফসি ও ফিফা। সংস্কার কাজে সাড়ে তিন লাখ ডলার খরচ হবে বলে জানা গেছে।

এসএইচ