ঘরের মাঠে মঞ্চ প্রস্তুত ছিলো আগেই। বুয়েন্স এইরিসে মেসি শেষটা রাঙ্গালেন তার সহজাত জাদুর ছোঁয়ায়। ভক্তদের ভালোবাসা ও সতীর্থদের নিয়ে উৎসবকে করলেন বর্ণিল আলোক উজ্জ্বল।
ম্যাচ শুরু থেকেই একচেটিয়া পজেশন ধরে রেখে আক্রমণ শুরু করে স্বাগতিকরা। ৪০ মিনিটে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, গোল করেন মেসি এবং উল্লাসে ফেটে পড়ে পুরো মনুমেন্তাল।
মাঝমাঠে প্রতিপক্ষ পজেশন হারালে বল ধরে আক্রমণ শাণায় আর্জেন্টিনা। ডি-বক্সের বাইরে আলভারেস এক পায়ে দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডজে ফাঁকি দেন একজনকে এরপর ছোট পাসে খুঁজে নেন মেসিকে। প্রথম ছোঁয়ায় বল ধরে বাঁ পায়ের চিপ শটে গোলরক্ষকের ওপর দিয়ে বল জালে জড়ান মেসি।
বিরতির পর আরও বেশি আক্রমণাতঙ্ক খেলে আর্জেন্টিনা। ৭৪ মিনিটে আলভারেসের বদলি নামার দুই মিনিটের মধ্যে গোলের দেখা পেয়ে যায় মার্তিনেজ। রেফারি বাঁশি শুনেই তড়িৎ থ্রু পাস বাড়ান মেসি। বলের পেছনে ছুটে বাইলাইনের কাছ থেকে কাটব্যাক করেন গনসালেস আর ডাইভিং হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইন্টার মিলান ফরোয়ার্ড।
আরও পড়ুন:
চার মিনিট পরই নিজের দ্বিতীয় গোল করেন মেসি। আলমাদার পাস পেনাল্টি স্পটের কাছে ফাঁকায় পেয়ে প্রথম ছোঁয়াতেই বল জালে পাঠান ইন্টার মায়ামি তারকা। আন্তর্জাতিক ফুটবলে ১৯৪ ম্যাচে মেসির গোল হলো ১১৪টি। এর সেই সঙ্গে ৬১টি অ্যাসিস্টও করেছেন রেকর্ড আটবারের ব্যালন ডি’র জয়ী।
এই গোলের পরই গ্যালারিতে শুরু হয় মেসি উৎসব। কিছু সমর্থক গলা ফাটিয়ে গান গাইতে শুরু করেন ওলে ওলে মেসি। আর শেষের বাঁশি বাজতেই শুরু হয় আতশবাজি। তার মাঝেই সতীর্থদের সঙ্গে নিয়ে দর্শকদের কাছে যান মেসি, হাত উঁচিয়ে জবাব দেন তাদের ভালোবাসার।
বয়স হয়ে গেছে ৩৮ বছর। তাই হয়তো ২০২৬ বিশ্বকাপের পর বুট জোড়াই তুলে রাখবেন তিনি। দেশের মাঠে আর কখনও নামবেননা প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে। মনুমেন্তালে গ্যালারি উৎসবে শেষটা শুধুই মেসির বিদায় আর তার ক্যানভাসে আঁকা এক অমূল্য শিল্পকর্ম।