ম্যাচের আগের দিনই বাংলাদেশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা স্বীকার করে নিয়েছিলেন দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে খেলা সবসময়ই কঠিন বাংলাদেশের জন্য। পরিসংখ্যানটাও সেই কথাই বলছে।
নেপালের এই মাঠে ২০১৩ সালের পর থেকে আর কখনোই জেতা হয়নি বাংলাদেশের। শেষ ৩ ম্যাচের সবকটিতেই ছিল হার। ২০২৫ সালে দুই ম্যাচের জন্য নেপালে এসেছে লাল-সবুজের দল। যার প্রথমটায় অন্তত হার এড়িয়েছে তারা।
দশরথ রঙ্গশালায় এদিন শুরু থেকেই বল দখলে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। ক্যাবরেরার শিষ্যরা পজিশন ভিত্তিক ফুটবলে মনোযোগ দিয়েছিলেন বটে, তবে সেখান থেকে কার্যকরী ফল আনতে পারেননি। ম্যাচের সেরা সুযোগটাও অবশ্য পেয়েছিল সফরকারীরাই।
রহমতের লম্বা থ্রো ধরতে পারেননি নেপালের গোলরক্ষক। ফাকা পোস্টেও বল উড়িয়ে মেরেছিলেন বাংলাদেশের সুমন রেজা। পুরো ম্যাচে বল পজিশনে দুই দল ছিল সমান। লক্ষ্যে শট রাখার হিসেবটাও একই। বাংলাদেশের অভিষিক্ত গোলরক্ষক সুজনকে কয়েকবার বল ঠেকাতে হলেও সেটা কঠিন ছিল না।
শেষ পর্যন্ত দুই দলের কেউই গোল না পেলে ম্যাচ শেষ হয় ড্র-তে। এই নিয়ে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যেকার শেষ ৪ ম্যাচই হয়েছে ড্র।
অক্টোবরে হংকং ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দলের প্রস্তুতি পরখ করার মঞ্চ নেপালের বিপক্ষে এই দুই ম্যাচ। যেখানে শুরুটা মনমতো হয়নি। তবে ৯ তারিখের ম্যাচে জয় দিয়ে নিজেদের আত্মবিশ্বাস নিশ্চিতভাবেই বাড়িয়ে নিতে চাইবেন জামাল-সোহেল রানারা।