চলছে জাতীয় টেনিস প্রতিযোগিতার কোয়ার্টার ফাইনাল। পাশে ব্যাট-বলে উত্তরা ক্লাবের জুনিয়র পর্যায়ে খেলা আজান আজিমের মনোযোগ অনুশীলনেই। সঙ্গে আসা ব্যবসায়ী বাবারও নজর কাড়তে পারেনি দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের এই প্রতিযোগিতা।
আজান আজিমের বাবা বলেন, 'আমাদের যারা স্টাফরা আছে, আমার মনে হয় তাদের এক্সপেরিয়েন্সের ঘাটতি আছে। আমি বলবো যে এরকম যত প্রতিযোগিতা হবে, আমাদের উচিত এই জিনিসগুলো আরও ভালোভাবে অর্গানাইজ করা।'
দেখে বুঝার সাধ্য নেই খেলা চলছে না প্রস্তুতি। জাতীয় প্রতিযোগিতা তবে কোর্টে নেই কোনো লাইন আম্পায়ার বা চেয়ার আম্পায়ার। নিজের করা পয়েন্ট পরিবর্তনসহ টেনিস বল অন্য কোর্টে গেলে আনতে হচ্ছে খেলোয়াড়কেই। পেশাদারিত্বের কোনো ছিটেফোঁটাও দেখা যায়নি আয়োজনে।
একজন খেলোয়াড় বলেন, 'সেমিফাইনালের পর থেকে আমাদের রেফারি দেয়া হয়। বা কোনো সমস্যা হলে ফোন করলে রেফারি আসেন।'
অন্য একজন খেলোয়াড় বলেন, 'বাংলাদেশে ওই রকম লেভেলের কোচ নেই, সেজন্য আমরা ওইরকম ট্রেনিংও পাই না।'
বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের সাবেক কোচ নারায়ণ প্রসাদ বলেন, 'সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল টাফ। সেক্ষেত্রে আমরা চেয়ার আম্পায়ার বা লাইন জাজ দিয়ে কাজটা করতে পারি।'
২০১৩ সালে সবশেষ হয়েছিল জাতীয় টেনিস প্রতিযোগিতা। মাঝে দীর্ঘ এক যুগে জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্সে অন্যান্য ইভেন্ট হলেও ঘরোয়া এই প্রতিযোগিতার ব্যাপারে গত কমিটি ছিল বড্ড উদাসীন। নতুন এডহক কমিটি আসায় কোর্টে গড়িয়েছে ঘরোয়া আসরটি। তবে আয়োজন কি মানসম্মত করতে পেরেছে ফেডারেশন?
নবগঠিত এডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদের কণ্ঠে সেই পুরনো সুর। দোহাই দিলেন আর্থিক সংকটের।
ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, 'টুর্নামেন্ট কমিটি একটু সাশ্রয় করার জন্য বল বয় রাখেনি। কারণ আমাদের ফেডারেশনে কোনো পার্মানেন্ট বল বয় নেই। বাহির থেকে আনতে হবে, তাদের পয়সা দিতে হবে। বল বয়ের খরচ অনেক, আমার বাজেটে এটা হবে না।'
আয়োজকদের এমন খামখেয়ালিপনায় আন্তর্জাতিক মানের টেনিসার তৈরি হয় না বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।