বিদেশি জাতের আম চাষে আগ্রহ বাড়ছে নওগাঁর চাষিদের

নওগাঁয় বাড়ছে বিদেশি জাতের আম চাষ
এখন জনপদে
কৃষি
0

বিদেশি জাতের আম চাষে নওগাঁয় চাষিদের আগ্রহ বাড়ছে। এ জেলার মাটি ও আবহাওয়া বিদেশি জাতের আম চাষের উপযোগী হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে চাষাবাদ। ভালো ফলন, স্বাদ ও গুণগত মানের পাশাপাশি ভালো দাম পাওয়ায় খুশি চাষিরা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ১২০ হেক্টর বাগান থেকে বছরে প্রায় দেড় হাজার টন আম উৎপাদন হয়। ৫ হাজার টাকা মণ হিসেবে যার বাজারমূল্য প্রায় ১৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।

নওগাঁর সাপাহার উপজেলার উদ্যোক্তা সোহেল রানা। ২০১৮ সাল থেকে দেশি জাতের আমের পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে বিদেশি জাতের ব্যানানা ম্যাংগো, রেড পালমার, মিয়াজাকি, চিয়াংমাই ও কিউজাইসহ ৮ জাতের আম চাষ করছেন।

বিভিন্ন দেশ থেকে এসব জাতের আমের কাটিং কলম সংগ্রহ করা হয়েছে। এরমধ্যে ব্যানানা ম্যাংগো ৫ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে বাজারে। আগামীতে বিদেশি জাতের আম চাষের পরিধি আরো বাড়াবেন বলে জানান এ উদ্যোক্তা।

তিনি বলেন, ‘সব জাতই এখানে ভালো হচ্ছে। কিছু আমরা বাণিজ্যিক করেছি। যে জাতগুলো ভালো হচ্ছে সেগুলো আবার নতুন করে যে বাগানগুলো করছি সেখানে বাণিজ্যিকভাবে শুরু করবো।’

সোহেলের মতো অনেক কৃষক এখন ঝুঁকছেন বিদেশি জাতের আম চাষে। বারোমাসি এবং ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকদের মাঝেও দিন দিন বাড়ছে আগ্রহ।

কৃষকরা জানান, ব্যানানা ম্যাঙ্গোর অনেক চাহিদা রয়েছে দেশে বিদেশে। এ আম চাষ করে লাভবান হতে পারেন তারা। বিদেশি আমগুলোর চাহিদা অনেক বাড়ছে। শুরুতে অল্প জায়গায় চাষ শুরু করলেও বর্তমানে কয়েক বিঘা করে জমিতে চাষ করছেন কৃষকরা।

জেলায় প্রায় ১২০ হেক্টর জমিতে বিদেশি জাতের আম বাগান গড়ে উঠেছে। নিয়মিত তদারকির পাশাপাশি নানা পরামর্শ দিয়ে আম চাষীদের পাশে আছে কৃষি বিভাগ।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘দেশি জাতের পাশাপাশি বিদেশি জাতের আমগুলোও ভালো চাষ হচ্ছে। আমরা বিদেশি জাতগুলো নিয়েও কৃষকদের উৎসাহ দিচ্ছি। হয়তো আগামীতে আমাদের দেশি জাতের পাশাপাশি বিদেশি জাতেরও সম্প্রসারণ হবে নওগাঁ জেলায়।’

ইএ