প্রদর্শনীতে থাইল্যান্ডসহ ২৭টি দেশের ১৭০টি কোম্পানি রিমার্কের গ্লোবাল ব্র্যান্ডগুলোর সোল ডিস্ট্রিবিউটরশিপ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানান রিমার্কের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ইউনিটের প্রধান রাশেদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘এবারের কসমোপ্রফে আমাদের পণ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, জাপান, কোরিয়া, থাইল্যান্ড, রাশিয়া, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, চীন ও ভারতের ব্যবসায়ীরা আগ্রহ দেখিয়েছেন। তারা শুধু পণ্য কিনতেই নয়, যৌথভাবে ব্যবসার ক্ষেত্রেও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।’
তিনি আরও জানান, প্রদর্শনীতে বাংলাদেশে উৎপাদিত শতাধিক উদ্ভাবনী পণ্য ছিল বিশেষ আকর্ষণ। থাইল্যান্ডে রিমার্কের স্টলে দেশটির সেলিব্রিটিরাও ভিজিট করেছেন এবং বিভিন্ন পণ্য ব্যবহার করে প্রশংসা করেছেন।
রিমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল আম্বিয়া বলেন, ‘আমাদের উৎপাদন প্রক্রিয়া সর্বাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর, যা সিজিএমপি ও আইএসও স্বীকৃত। সম্প্রতি আমরা দেশের শিল্প খাতের সর্বোচ্চ স্বীকৃতি গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছি।’
এ প্রদর্শনীতে প্রথমবারের মতো কোনো বিদেশি ব্র্যান্ডের বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে বাংলাদেশের কসমেটিকস ও স্কিনকেয়ার শিল্পের আন্তর্জাতিক সম্ভাবনা আরও উন্মুক্ত হয়েছে বলে মনে করছে রিমার্ক।
এএসবিএমইবি (অ্যাসোসিয়েশন অব স্কিন কেয়ার বিউটি প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অব বাংলাদেশ)-এর জেনারেল সেক্রেটারি জামাল উদ্দীন বলেন, ‘বিদেশিরা বাংলাদেশি পণ্যে আগ্রহ দেখানো নিঃসন্দেহে বড় অর্জন। এটি প্রমাণ করে, বাংলাদেশে উৎপাদিত কসমেটিকস পণ্য এখন আন্তর্জাতিক মানের।’
তিনি আরও বলেন, ‘রিমার্ক উদ্ভাবনী দক্ষতা, গুণগত মান এবং গবেষণাকে অগ্রাধিকার দিয়ে দেশের কসমেটিকস খাতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ভবিষ্যতে এই খাত রপ্তানির অন্যতম স্তম্ভ হয়ে উঠবে।’