রমজানের শেষেই আসবে খুশির ঈদ। তাই তো প্রসাধনীর দোকানে সাজানো হরেক রকমের পণ্য। বিশেষ দিনে হাত রাঙিয়ে তুলতে মেহেদীর দোকানে ভিড় বাড়ছে নারীদের।
পোশাকের সাথে মিল করে চুড়ি, ফিতা, লিপিস্টিক, নেইলপলিশসহ বিভিন্ন প্রসাধনী কিনছেন ক্রেতারা। জানান, প্রসাধনী কেনার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিচ্ছেন দেশি পণ্যের দিকে।
একজন ক্রেতা বলেন, ‘এবছর ঈদে ভাবছি আমরা যে সাজ সাজবো, সেখানে দেশি পণ্যগুলো রাখার চেষ্টা করবো।’
বিক্রেতারা জানান, উৎসব ঘিরে ফেশিয়াল, সাবান, পাওডার, সিরাম, পারফিউমসহ প্রসাধনী পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। ঈদের আগে বেচাকেনা বাড়ার আশা তাদের।
বরগুনা কসমেটিকস ও বানিয়াদী ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এবছর দেশি পণ্যের ওপর আমরা একটু বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি । আশা করছি বেচা-কেনা বিগত দিনগুলোর তুলনায় এবছর ভালো হবে। হয়ত আমরা ১০-১৫ লাখ টাকা মুনাফা করতে পারবো।’
এদিকে জেলা প্রশাসক জানান, বাজারে ভেজাল পণ্য প্রতিরোধে অব্যাহত থাকবে প্রশাসনের অভিযান।
বরগুনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ‘আমাদের মোবাইল কোর্ট অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং ঈদ ও রমজান উপলক্ষ্যে সেটা আরো জোরদার করা হয়েছে। প্রতিদিনই আমাদের টিম উপজেলা এবং জেলা পর্যায়ে বের হচ্ছে এবং ভোক্তা অধিকারের বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছে।’
বরগুনায় ছোট-বড় মিলিয়ে ৫শ'র বেশি প্রসাধনীর দোকান রয়েছে। এসময় ঈদে ২৫-৩০ কোটি টাকার বেচাকেনার আশা ব্যবসায়ীদের।