গত জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় দুষ্কৃতকারীরা দুই দফা হামলা চালিয়ে ও অগ্নিসংযোগ করলে ধ্বংস হয়ে যায় অফিসটিতে সরবরাহের জন্য রাখা প্রায় আট হাজার পাসপোর্ট, কম্পিউটার আসবাবপত্রসহ সব ধরনের যন্ত্রাংশ। বন্ধ হয়ে যায় সেবা খাতের অন্যতম এই আঞ্চলিক কার্যালয়টি। এতে করে ভোগান্তিতে পরে স্থানীয়সহ এই কার্যালয়ে সেবা নিতে আসা গ্রাহকরা।
প্রায় ৪ মাসের সংস্কার কাজের পর ভবনটি নতুনভাবে ব্যবহারের উপযোগী হয়েছে। গত মাসে উদ্বোধনের কথা থাকলেও সার্ভার জটিলতার কারণে তা পিছিয়ে যায়।
নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জামাল হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘ নয় মাস পর পুনরায় চালু হচ্ছে আঞ্চলিক কার্যালয়ের পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম। আমরা নিশ্চিত করতে চাই সম্পূর্ণ দালালমুক্ত এবং নিরিবিলি পরিবেশে জনগণের কথা বিবেচনা করে ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে সঠিক সেবা দিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ করে যাবো। জুলাই মাসে প্রায় পাঁচ হাজার পাসপোর্ট পুড়ে গেয়েছিল। সেখান থেকে প্রায় সাত হাজার পাসপোর্ট আগারগাঁও থেকে সরবরাহ করা হয়েছে। বাকিগুলোও সরবরাহের অপেক্ষায় আছে।’
সরেজমিনে নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই আবেদনকারীরা ভিড় করেছেন সেখানে। প্রথম দিনে সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের কাছ থেকে নানা ভোগান্তিরও অভিযোগ পাওয়া যায়।
নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, ‘পাসপোর্ট হচ্ছে একজন নাগরিকের জাতীয়তার অন্যতম একটি ডকুমেন্ট। দীর্ঘ ৯ মাস এই অফিসটির কার্যক্রম বন্ধ ছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পাসপোর্ট অফিসের আছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, পুনরায় আবার এই অফিসের কার্যক্রমটি শুরু করার জন্য। নারায়ণগঞ্জ একটি শিল্পঘন জেলা। যারা শিল্পের সাথে জড়িত, প্রতিনিয়ত তাদের বিদেশ ভ্রমণ করতে হয়। তাদের জন্য পাসপোর্টটি খুবই প্রয়োজন। এ ছাড়াও নারায়ণগঞ্জে অনেক মানুষের বসবাস। সেই লক্ষ্যে আবার এটি নতুনভাবে চালু হচ্ছে।’