গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নাসিরনগর উপজেলা সদরের কামারগাঁও এলাকার চাঁন মিয়ার ছেলে আব্বাস মিয়া (৩২) ও বুড়িশ্বর ইউনিয়নের আশুরাইল গ্রামের আজদু মিয়ার ছেলে সেন্টু মিয়া (৩৬)। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ১৩-১৪ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২২ মে) দিবাগত মধ্যরাতে নাসিরনগর উপজেলার তিলপাড়া এলাকায় সড়কে গাছ ফেলে একটি মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সে হানা দেয় একদল সশস্ত্র ডাকাত।
তারা অ্যাম্বুলেন্স আরোহীদের মারধর করে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোনসেট লুটে নেয়। অভিযোগ উঠে, ডাকাতরা মরদেহেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। তবে মরদেহে আঘাত করার অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা মিলেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খাইরুল আলম জানান, ডাকাতির ঘটনাটি পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে। ইতোমধ্যে দুজন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তার ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘ডাকাতরা মরদেহে আঘাত করার অভিযোগের কোনো সত্যতা মিলেনি তদন্তে। মূলত মরদেহের নিচে টাকা-পয়সা বা মূল্যবান জিনিসপত্র লুকিয়ে রাখা হয়েছি কিনা- সেজন্য মরদেহ নাড়াচারা করে ডাকাতরা।’