কোরবানি ঘিরে রাজশাহীতে জমে উঠেছে গবাদি পশুর হাট

গবাদি পশুর হাট
এখন জনপদে
0

খুব বেশি বেচাকেনা শুরু না হলেও কোরবানি ঘিরে রাজশাহীতে জমে উঠেছে গবাদি পশুর হাট। অর্থনীতির সেই পুরোনো সূত্র-সরবরাহ; বেশি মানেই বাজারে দাম কম, এখন পর্যন্ত হাটে সেটাই দেখা যাচ্ছে। এদিকে বাজারে সব সময়ই মাঝারি গরুর চাহিদা থাকে বেশ। তাই বড় গরু নিয়ে টেনশনে থাকতে হয় গৃহস্থ ও খামারিদের। পরের সপ্তাহেই হাটে বেচাকেনা জমজমাট হয়ে উঠার আশা ইজারাদারদের।

রাজশাহী নগরীর সিটি হাট। আসন্ন কোরবানিকে সামনে রেখে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছে গরু। হাটে বাড়ছে পশুর জোগান। ছোট-বড়-মাঝারি, আছে সব সাইজের গরু-মহিষ। এসব গরু কয়েক বছর লালন পালনের পর বিক্রির জন্য হাটে তুলেছেন খামারিরা। তবে, হাটে ক্রেতার আনাগোনা কম। অধিকাংশই দেখছেন, যাচাই করছেন দাম।

বিক্রেতাদের একজন বলেন, ‘বেচাকেনা শুরু হয়েছে। তবে খুব ব্যাপকভাবে এখনো শুরু হয় নাই। হয়তো ঈদের আগে শুরু হবে।’

বিক্রেতাদের আরেকজন বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী মিলছে না। ক্রেতা কম আসছে। বেচাকেনা কম হচ্ছে।’

তিন থেকে সাড়ে তিন মণ ওজনের গরু বিক্রি হচ্ছে এক থেকে দেড় লাখ টাকার মধ্যে। মাঝারি গরু আড়াই থেকে ৪ লাখ, আর বড় গরুর দাম ৭ থেকে ১২ লাখের মধ্যে। আর হাটের সেরা গরুর দাম হাঁকা হয়েছে ২০ লাখ পর্যন্ত। খামারিরা বলছেন, পশু পালনে খরচ বেড়েছ। কিন্তু সে তুলনায় মিলছে না দাম।

রাজশাহী নগরীর সবচেয়ে বড় ও স্থায়ী এ হাট থেকে পশু কিনে ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেটে সরবরাহ করেন ব্যাপারীর। তবে, বড় ব্যাপারীর এখনও আসেননি। এতে বেচাকেনা কমেছে বলছেন ব্যবসায়ী ও হাট মালিক।

রাজশাহী সিটি হাটের ইজারাদার আলহাজ মো. শওকত আলী বলেন, ‘ক্রেতা নেই। এখনো গরু কেনা বেচা শুরু হয়নি। চাঁদ উঠলে বেচাকেনা শুরু হবে। আমাদের শহরের লোক তো একদিন আসে গরু কিনে নিয়ে যায়।’

নগরীর সিটি হাটের পাশাপাশি রাজশাহীর কাঁকন, মন্ডুমালা, চৌবাড়িয়া, দামকুড়া হাট থেকে দেশের নানা প্রান্তের ব্যাপারীর গরু সংগ্রহ করেন।

সেজু