একদিন বাদেই কোরবানির ঈদ। রাজ্যের তাড়া নিয়ে রাজধানী ঢাকা থেকে ছেড়ে আসছে একের পর এক বাস, জানালায় মুখ ডুবানো মুখগুলো ভীষণ ক্লান্ত এখন। তবে চোখে তাদের অপেক্ষার প্রহর কখন বাড়ি পৌঁছাতে পারবে।
এরপর ধেয়ে আসছে মালবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, মাইক্রোবাস-প্রাইভেট কার। সচ্ছল যারা কিংবা কপাল গুনে গাড়ির টিকিট জুটেছে তাদের মাথার ওপর ছাদ আছে।
আর যারা শূন্য হাতে গিয়েছিলো জীবিকার আশায় তাদের ফেরা এমন খোলা পিকআপেই হয়। কখনো ঝুলে কখনো বা রোদ বৃষ্টিতে পুড়ে-ভিজে। নেত্রকোণার খালিয়াজুড়ি যাওয়া সেফালি একগাল হেসে বলছিলেন, ‘কষ্ট হোক বাইত মা-বাপের কাছে যাইতাছি এইডাই আনন্দ।’ আদতে ঈদ আসলে ঘরেফেরা মানুষের এমন যাত্রা মহাসড়কে প্রায়সই চোখে পড়ে।
যে যেভাবে পাড়ছে ঈদে বাড়ি ফিরছে মানুষ। তবে এবারও বেশি ভাড়া গুণতে হচ্ছে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের যাত্রীদের। বেলা যত গড়াচ্ছে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে ঈদে ঘর ফেরা মানুষের চাপ ততই বাড়ছে। পরিবারের সদস্যদের সাথে ঈদ উদযাপন করতে বাস, ট্রাক, সিএনজি, অটো, পিকআপসহ যে যেভাবে পাড়ছে নীড়ে ফিরতে মহাসড়ক জুড়ে নেমেছে মানুষের ঢল।
তীব্র যানজট সৃষ্টি না হলেও রাস্তার মাঝখানে গাড়ি দাড় করিয়ে যাত্রী ওঠানামা করায় ভালুকা, ত্রিশাল এবং ঢাকা বাইপাস মহাসড়কে থেমে থেমে যানজট তৈরি হওয়ায় কমেছে যানবাহনের গতি। এছাড়া বরাবরের মত এবারো ঈদ যাত্রীদের কাছে থেকে নির্ধারিত ভাড়া চেয়েও বেশি ভাড়া আদায়সহ কোনো কোনো ক্ষেত্রে দ্বিগুণ ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
নির্ধারিত বাসস্ট্যান্ডের আগেই নামিয়ে দেয়া হচ্ছে যাত্রীদের এতে করে যাত্রী হয়রানি বাড়ছে । অন্যদিকে মহাসড়কে দৌরাত্ম্য বেড়েছে ব্যাটারিচালিত অটো রিক্সা, সিএনজির যার ফলে ঝুঁকি বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনার।
সকাল থেকেই ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন ও মাহা সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে মাঠে রয়েছে পুলিশ, সেনাবাহিনী, র্যাব, এপিবিএনসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহীনির সদস্যরা।