ঈদের চতুর্থ দিনেও সড়কে বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের

ঘরমুখো মানুষের ভিড় স্টেশনে
এখন জনপদে
0

ঈদের ছুটির চতুর্থ দিনেও রেল ও সড়ক পথে ভিড় করছেন ঘরমুখো মানুষ। জীবিকার তাগিদে যারা ঈদের ছুটিতে গ্রামে যেতে পারেননি, এখন গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন তারা। রেলপথে যাত্রা স্বস্তি হলেও সড়কে বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকাকে দায়ী করছে সেবাগ্রহীতারা।

ঈদের ছুটি শেষে রেলওয়ে স্টেশনে বেড়েছে ফিরতি যাত্রীদের ভিড়। এরইমধ্যে আবারও রাজধানী ছাড়ছেনও অনেক। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে দেখা যায়, জীবিকার তাগিদে যারা ঈদে বাড়ি ফিরতে পারেননি, তাদের অনেকেই ঈদের চতুর্থ দিনে বাড়ি ফিরছেন।

যাত্রীদের কেউ কেউ জানান, ঈদের আগে অনেক ভিড় হয়। বাচ্চা নিয়ে কষ্ট হয়ে যায়। এজন্য আমরা সবসময় ঈদের পরেই বাড়ি যাই।

কোন প্রকার শিডিউলের বিঘ্ন না ঘটিয়ে যথাসময়ে ছেড়ে যাচ্ছে ট্রেন মঙ্গলবার সারাদিনে ঢাকা থেকে ট্রেন ছেড়ে যাবে ২৫ টি। আর কমলাপুর ফিরবে ২২ টি ট্রেন।

কমলাপুর স্টেশনের মাস্টার মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ও রেলওয়ে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় দায়িত্বে আছেন। যাতে যাত্রীরা ছাদে উঠতে না পারেন।’

সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, যাত্রীদের ভিড় কম। তবে ঈদের ছুটি থাকায় রাজধানী ছাড়ছেন এমন যাত্রীর সংখ্যাই বেশি। বাড়ি ফেরায় যাত্রীদের কিছুটা চাপের সুযোগে বাড়তি ভাড়া আদায় করতে দেখা গেছে এনাসহ কয়েকটি পরিবহনকে। দায় স্বীকার করে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদ উপলক্ষেই বাড়তি ভাড়া আদায় করছেন তারা।

চট্টগ্রামগামী এক যাত্রী জানান, আমরা এই রুটে সবসময় যাই ৭০০ টাকা ভাড়ায়। কিন্তু এখন ভাড়া চাচ্ছে ১৪০০ টাকা করে। আরো এক যাত্রী জানান, আমাদেরকে বলেই দিচ্ছে ঈদ উপলক্ষে টাকা বাড়িয়ে দেয়ার জন্য।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় ঈদের ফিরতি যাত্রায় মাস্ক পরার অনুরোধ জানানো হলেও কম সংখ্যক যাত্রীকেই এ নিয়ম মানতে দেখা গেছে।

ইএ