গতকাল (শুক্রবার, ২০ জুন) রাত ৯টায় ফুলপুর-হালুয়াঘাট সড়কে কাজিয়াকান্দার ইন্দিরার পাড় এলাকায় দাঁড়ানো ছিল বালুভর্তি বিকল ট্রাক। ময়মনসিংহের ফুলপুর থেকে যাত্রী নিয়ে একটি মাহেন্দ্র হালুয়াঘাট যাওয়ার পথে দাঁড়িয়ে থাকা বালুবাহী ট্রাককে ওভারটেক করে বিপরীত দিক থেকে আসা শ্যামলী বাংলা পরিবহনের বাসের সামনে পড়ে যায়।
মুখোমুখি সংঘর্ষে মাহেন্দ্রটি ছিটকে সড়কের পাশে বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা লেগে চুর্ণবিচুর্ণ হয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মাহেন্দ্র চালকসহ পাঁচজন নিহত হয়। আহত হয় মাহেন্দ্র ও বাসের কমপক্ষে ২০ যাত্রী।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা স্থানীয়দের সহায়তায় হতাহতদের উদ্ধার করে। গুরুতর আহতদের প্রথমে ফুলপুর ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেলে নেয়া হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়ে আরও দুজনের। দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাক, বাস ও মাহেন্দ্রের বেপরোয়া গতি দুর্ঘটনার কারণ বলছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের মধ্যে একজন বলেন, ‘কয়েকজন কেঁদে কেঁদে বলছে যে এখানে সবাই শেষ, পেছনে তাকিয়ে দেখি মাহেন্দ্র এর নিচে অনেক যাত্রী। সবাই মারা গেছে। ট্রাক ওভারটেকের সময়ই দুর্ঘটনা ঘটে। গতি বেশি ছিল দুর্ঘটনা ঘটছে।’
এদিকে শুক্রবার বিকেলে ময়মনসিংহের তারাকান্দায় ময়মনসিংহগামী অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন নিহত হন। আর হাসপাতালে নেয়ার পর আরও একজনের মৃত্যু হয়।
এরইমধ্যে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম।
তিনি বলেন, ‘গাড়ির ড্রাইভার হেল্পারকে আমরা এখনও পাইনি। তারা পলাতক আছে, তাদের ধরলে জানা যাবে যে, গাড়িটা আসলে কেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। সব বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা হবে। সবচেয়ে বড় ব্যাপারটা হলো সবাইকে সচেতন হতে হবে।’
নাটোরে আরেকটি দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। বিকেলে সিরাজগঞ্জ থেকে রাজশাহীগামী একটি বাসের সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা সিএনজি অটোরিকশার সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হন। আর আহতদের উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে নেয়া হলে একজন এবং রাজশাহী মেডিকেলে আরও দুজনের মৃত্যু হয়।
এছাড়া জামালপুরে বাসচাপায় এক পথচারী নিহত হন।