যশোর-খুলনা মহাসড়কের কোথাও দেবে গেছে। কোথাও তৈরি হয়েছে ঢিবি। কোথাও আবার বিটুমিন উঠে সৃষ্টি হয়েছে ছোট বড় গর্তের।
যশোর শহরের পালবাড়ি মোড় থেকে অভয়নগরের রাজঘাট পর্যন্ত ৩৮ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারে ব্যয় হয় ৩২১ কোটি টাকা। কাজ শেষ হয় ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে। এত অল্প সময়েই সড়কটির ১৫ কিলোমিটার অংশ চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে । চালক ও স্থানীয়রা জানান, মহাসড়কের ইটের সলিং আর খানাখন্দে ঘটছে দুর্ঘটনা। বিকল হচ্ছে যানবাহনের যন্ত্রাংশ।
স্থানীয়রা জানান, এখনো কিছু কাজ বাকি। কিন্তু রাস্তার পাশে যে বড় গর্তগুলো রয়েছে এগুলোতে যদি মাটি না দেয়া হয় তাহলে গাড়ি চলবে না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা মানুষকে জ্যামে বসে থাকতে হচ্ছে। অ্যাম্বুলেন্স গুলোও বের হতে পারছে না। যারা ব্যবসায়ী আছে তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ঠিকমতো ব্যবসা পরিচালনা করতে পারছেন না তারা।
রাজধানী ঢাকাসহ দূরপাল্লার ৩২টি রুটের যানবাহন চলাচল করে এই মহাসড়কে। এছাড়া বেনাপোল স্থল বন্দর, দর্শনা স্থল বন্দর, নওয়াপাড়া নদী বন্দর এবং মোংলা সমুদ্র বন্দরগামী হাজার যানবাহন চলে প্রতিনিয়ত। কিন্তু সড়কের এই বেহাল দশায় যানজটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েন চলাচলকারীরা।
তারা জানান, একবার জ্যাম লাগলে ৩-৪ ঘণ্টার আগে ছাড়ে না। এজন্য যারা এই রাস্তায় যাতায়াত করছে তাদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় ট্রাক উল্টে যাচ্ছে। ইজিবাইক, মোটরসাইকেল যেগুলো আছে সেগুলো এলাকা থেকে বের হতে পারছে না। চালকরা জানান, সময়মত তারা জিনিসপত্র নিয়ে পৌঁছাতে পারছেন না।
যশোর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া জানান, কংক্রিটের ঢালাই দিয়ে মহাসড়কের সংস্কার চলছে। আশা করছি কাজ শেষ হলে ভোগান্তি দূর হবে।
তিনি বলেন, ‘আশা করি জুলাই এর মাঝামাঝি কাজ শেষ হয়ে যাবে। আর যেটা ২৩৫২ মিটার অর্থাৎ মুড়লি এবং চেঙ্গুটিয়াই, এই দুইটি কাজের সময়সীমা আছে আরও দুই বছর। দুই বছর থাকলেও আমরা আশা করছি আগামী ডিসেম্বর বা জানুয়ারির ভেতর শেষ করা যাবে।’
সড়ক বিভাগের তথ্যমতে, মহাসড়কের মুড়লি রেল ক্রসিং থেকে অভয়নগর পর্যন্ত ৩ হাজার ৪৮ মিটার রাস্তা সংস্কার চলছে। ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা; যা শেষ হবে চলতি বছরের ডিসেম্বরে।