এতে তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলার সুশীল সমাজের ৭০ জন নাগরিক অংশ নেন। সুজনের রাঙামাটি জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট দীননাথ তঞ্চঙ্গ্যার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সুজনের প্রধান সমন্বয়কারী দিলিপ কুমার সরকার।
এছাড়া উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি জেলার সাধারণ সম্পাদক এম জিসান বখতেয়ার, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য বাঞ্চিতা চাকমা, সাবেক শিক্ষা কর্মকর্তা অঞ্জুলিকা খীসা, ইন্টুমনি তালুকদার, জাহাঙ্গীর আলম মুন্না, সুজন বান্দরবান জেলা সভাপতি ডনাইপ্রু নেলী প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, দেশের এক-দশমাংশ অঞ্চল পার্বত্য চট্টগ্রাম স্বাধীনতার ৫৩ বছর ধরে অবহেলিত। এখানকার জনগোষ্ঠী ও ভৌগোলিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে জাতীয় সনদ তৈরি ও পাহাড়ের জন্য পৃথক শিক্ষা কমিশন গঠনের আহবান জানান তারা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে দিলিপ কুমার সরকার বলেন, ‘সচেতন, সংগঠিত ও সোচ্চার জনগোষ্ঠীই গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ। তাই রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে নাগরিক সংলাপ আয়োজন করেছে সুজন।’
তিনি বলেন, ‘বিগত সময়ে সুশাসনের অভাব ও নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় দেশে সংকট তৈরি হয়েছে। সুজনের প্রস্তাবিত জাতীয় সনদ ঐকমত্যের ভিত্তিতে চূড়ান্ত হলে এর বাস্তবায়নের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক, মানবিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব হবে।’