শরীয়তপুর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইউনূস খালাসী। নিয়মিত পৌরকর পরিশোধ করেও পাচ্ছেন না সড়কবাতির সুবিধা আর সাপ্লাই পানির মতো বিভিন্ন নাগরিক সেবা।
পৌরবাসিন্দাদের মধ্যে একজন ইউনূছ খালাসী বলেন, ‘১৫ বছর আগে করা এ রাস্তা-ঘাট ভেঙে হাঁটা-চলার অবস্থা নেই। রাস্তায় বাতি নেই।’
প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা হওয়া সত্বেও এখানকার ৮০ শতাংশ এলাকায় এখনও পৌঁছায়নি সড়কবাতি। এতে রাত-বিরাতে শহরের বিভিন্ন সড়কে ঘটছে চুরি, ছিনতাইসহ নানা ভোগান্তির ঘটনা। এছাড়া বেশকিছু এলাকায় নিরাপদ পানি সরবরাহের লাইন থাকলেও বেশিরভাগ এলাকায় তা অনুপস্থিত। নিয়মিত পৌরকর পরিশোধ করার দেয়ার পরও নাগরিক সুবিধা না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ বাসিন্দরা।
পৌরসভার বাসিন্দারা জানান, অপরিকল্পিতভাবে ফেলা হয় ময়লা-আবর্জনা। পৌরসভা থেকেও নেয়া হয় না কোনো ব্যবস্থা। এতে মশা-মাছির উৎপাতও বেড়েছে।
শুধু সাপ্লাইয়ের পানি কিংবা সড়কবাতি নয়- আংগারিয়া-রাজগঞ্জ বাজারসহ অধিকাংশ সড়ক বেহাল। শহরের অন্তত ১৫টি সড়ক চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা জানায়, বর্ষা মৌসুম হওয়ায় ছোট-বড় গর্তে পানি জমে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এছাড়া পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাব থাকায় জলাবদ্ধতা যেন পৌরবাসির নিত্যসঙ্গী।
পৌর বাসিন্দারা জানান, রাস্তা খারাপ হওয়ার কারণে জরুরি সেবা পেতেও তাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। সময়মত পাওয়া যায় না চিকিৎসা, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনাও ঘটে।
পৌরবাসির দুর্দশার কথা স্বীকার করে নানা সীমাবদ্ধতার কথা বলছে পৌর কর্তৃপক্ষ। যথাযথ সেবা দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেন পৌর প্রশাসক।
শরীয়তপুর পৌরসভার প্রশাসক ওয়াহিদ হোসেন বলেন, ‘আমাদের যেসব রাস্তার এখন বেহাল দশা, সেগুলোর কাজ চলছে। এগুলো পরিকল্পনা অনুযায়ী ধীরে ধীরে করা হবে। পানির সাপ্লাই নিয়েও আমরা কাজ করছি।’
শরীয়তপুর পৌর এলাকার প্রায় ৭০ হাজার মানুষের দাবি সব ধরনের নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবে পৌর কর্তৃপক্ষ।