তিনি বলেন, ‘দুই-একটা রাজনৈতিক দল চেষ্টা করছে এ ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি নির্বাচন যাতে না হতে পারে। মনে রাখতে হবে, যাদের ভোটের মাঠে ভোট নেই। দশ বছর পরে নির্বাচন করলেও তার ভোটের মাঠে ভোট হবে না। কিন্তু নির্বাচন দেরি হলে লাভবান কিছুটা হতে পারে, ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশ।’
অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেন, ‘ব্যক্তির চেয়ে দল বড়। জিয়াউর রহমান বলেছেন দলের চেয়ে দেশ বড়। যারা ব্যক্তি স্বার্থে ও দলের স্বার্থে যারা কথা বলছেন তারা দেশের কথা ভাবছেন না।’
তিনি বলেন, ‘এক বছরে নির্বাচিত সরকার না আসার কারণে এখনো বিনিয়োগ ও ব্যাংকিং ব্যবস্থা স্থবির হয়ে আছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল ও বিদেশিরা তারা কিন্তু অনিশ্চয়তায় মধ্যে আছে। তাই আমি বলব, অনিশ্চয়তা কাঁটাতে বাংলাদেশে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগের জন্য অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্যে অবশ্যই দ্রুত নির্বাচন দরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের যে ঐতিহাসিক লন্ডন বৈঠক, যেখানে আমাদের প্রিয় নেতা তারেক রহমানের সঙ্গে আমাদের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের বৈঠক হয়েছে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি নির্বাচন। বিষয়টাকে সরকার গুরুত্ব দেবেন। আমরা প্রস্তুত হয়ে আছি ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি আমরা নির্বাচনে যাব।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘রাজনৈতিক দুই একটি দল পিআর পদ্ধতির কথা বলছে। এখনো পিআর পদ্ধতি সম্পর্কে বাংলাদেশের ভোটাররা কিছুই জানেন না। রাজনৈতিক দলগুলোও অনেকটা অবহিত নয়। আমাদের পাশের দেশ ভারত, পাকিস্তানে এখানেও পিআর পদ্ধতি নেই। যে দেশগুলোতে পিআর পদ্ধতি আছে, সেই পিআর পদ্ধতি আমাদের বুঝতে ও জানতে হবে। কত শতাংশ ভোট পেলে পিআর পদ্ধতির আওতায় আসবে সেটা তো আগে জানতে ও বুঝতে হবে। জনগণকে পিআর পদ্ধতি বুঝতে হবে।’
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা মনে করি যেভাবে আগের নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী করেছি, সেভাবেই হবে। এখানে ঐকমত্য কমিশনেও কিন্তু আমাদের সংসদ নির্বাচনে পিআর পদ্ধতির বিষয়ে সম্পূর্ণ ঐকমত্য, এখানে পিআর পদ্ধতি হবে না। দুই একটি রাজনৈতিক দল উচ্চ কক্ষে পিআর পদ্ধতির কথা বলেছে। সেখানেও পিআর পদ্ধতির অজ্ঞতার জটিলতা, না জানার ও বুঝার জটিলতার জন্য আমরা সেখানেও স্পষ্ট বলছি এই নির্বাচনে নিম্ন ও উচ্চ কক্ষ কোথায় পিআর পদ্ধতি অত্যন্ত এই নির্বাচনে প্রয়োগ করা সম্ভব নয়। সেখানে ভবিষ্যতে যদি পিআর পদ্ধতির প্রয়োজন হয়, আগে জনগণকে অবহিত করে তারপরে।
উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন আল জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে বিজয় র্যালি ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবুল কাশেম, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নূরনবী আবু হায়াত খান নবু, পৌর বিএনপির সভাপতি আকতারুজ্জামান তুহিন, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ পিন্টু, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রাশেদা সুলতানা রুবি, উপজেলা বিআরডিবির চেয়ারম্যান ইউসুফ আলী খান প্রমুখ। র্যালিটি স্থানীয় দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বের হয়ে পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।