লুণ্ঠিত সাদা পাথর উদ্ধারে যৌথবাহিনীর রাতভর অভিযান, পরে জব্দকৃত পাথর প্রতিস্থাপন

চলছে জব্দকৃত সাদা পাথর প্রতিস্থাপনের কাজ
এখন জনপদে
2

সিলেটের ভোলাগঞ্জের সাদাপাথর পর্যটন এলাকায় লুণ্ঠিত পাথর উদ্ধারে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে ১২ হাজার ঘনফুট সাদা পাথর জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত পাথর রাতভর নৌকাযোগে পুনরায় সাদাপাথর এলাকায় স্থাপনের কাজ চলছে, যা নিয়ে আনন্দ ও স্বস্তি প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।

আজ (বুধবার, ১৩ আগস্ট) দিবাগত মধ্যরাতে সিলেটের সাদাপাথর পর্যটন এলাকার লুণ্ঠিত পাথর উদ্ধারে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানের শুরুতেই বিজিবি, পুলিশ, র‍্যাব ও উপজেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের তৎপরতায় ভোলাগঞ্জের কালাইরাগ এলাকা থেকে ১২ হাজার ঘনফুট সাদা পাথর জব্দ করা হয়।

পরে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এসব পাথর সঙ্গে সঙ্গেই সাদাপাথরে স্থাপনের কাজ শুরু হয়। বারকি নৌকা করে শ্রমিকরা রাতভর এ কার্যক্রম চালান। প্রশাসনের এমন উদ্যোগে স্থানীয় পর্যটন সংশ্লিষ্টরা এবং সাধারণ মানুষও স্বতঃস্ফূর্তভাবে সহযোগিতা করেন। তারা জানান, অতীতে যা ঘটেছে সেটির যেন আর পুনরাবৃত্তি না হয়, সেজন্য প্রশাসনের সঙ্গে একযোগে কাজ করবেন তারা।

অন্যদিকে, মহাসড়কেও যাতে পাথর পাচার হতে না পারে, সেজন্য সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়কে রাত ৮টা থেকেই সেনাবাহিনী বিশেষ তল্লাশিচৌকি বসায়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে চলা এ তল্লাশিতে প্রতিটি ট্রাকের পাথর নামিয়ে পরীক্ষা করা হয়। সেনাবাহিনী জানায়, লুট হওয়া পাথর উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত তাদের অভিযান চলবে।

আরও পড়ুন:

অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সিলেট সেনা নিবাসের ৩৪ বীর মেজর মো. রাজিব হোসাইন জানান, চুরি হওয়া পাথর অন্য জায়গায় সরিয়ে নেয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। যেসব পরিবহনে সাদা পাথর ধরা পড়ছে, সেগুলো জব্দ করে অভিযানের পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জেলা প্রশাসন জানায়, শুধু পাথর উদ্ধার নয়, বরং এ লুটের সঙ্গে জড়িতদেরও তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। এর আগে সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্রে ব্যাপক লুটপাটের ঘটনায় জেলা প্রশাসন গত ১৩ আগস্ট অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদ্মাসন সিংহকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। ১৭ আগস্টের মধ্যে এ কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এসএইচ