ফেনী তেমুহানি-রাজাপুর-সোনাইমুড়ির ব্যস্ততম এ সড়কে প্রতিদিন লাখো মানুষের যাতায়াত। তবে ব্যস্ত এই সড়কের বিভিন্ন স্থানে পিচ-পাথর উঠে বেরিয়ে এসেছে সুরকি ও বালু, বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত।
এমন অবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে পণ্য ও যাত্রীবাহী যান। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের রাজাপুর, গজারিয়া, অলাতলীসহ বিভিন্ন স্থান যেন মৃত্যু ফাঁদ, প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা।
সীমান্তবর্তী উপজেলা ফুলগাজী, পরশুরাম, ছাগলনাইয়া, সোনাগাজী, দাগনভূঞাঁ ও সদর উপজেলা। অতি বৃষ্টি ও কয়েক দফা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এসব এলাকার গ্রামীণ সড়ক থেকে শুরু করে মহাসড়কও। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এই পথে চলাচলকারীরা।
ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামতে কিছু এলাকায় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে চাঁদাবাজির অভিযোগে কাজ ফেলে চলে গেছেন অনেক ঠিকাদার।
আরও পড়ুন:
স্থানীয়দের মধ্যে একজন জানান, ঠিকাদার কাজ শুরু করার পর চাঁদাবাজরা এসে তাকে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেয় ও চাঁদা দাবি করেন। এতে সে কাজ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এমন অবস্থায় সড়ক সংস্কারে শিগগিরই কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে, বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
ফেনী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহমুদ আল ফারুক বলেন, ‘বেশি ক্ষতি হয়েছে আমাদের পরশুরাম, ফুলগাজী এ দু’টি উপজেলাতে।’
ফেনী সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা বলেন, ‘অতি বৃষ্টির কারণে আমাদের বেশ কিছু সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কোথাও যান চলাচলে সমস্যা হয়নি। আমরা তৎক্ষণাত আমাদের বিভাগীয় মালামাল দিয়ে এটা মেরামত করেছি। মেরামত কাজ এখনও চলমান। সামনে শুষ্ক মৌসুম আসছে, আশা করছি আমরা সব রাস্তা মেরামত করতে পারবো।’
এবার বর্ষা মৌসুমে জেলার ৬ উপজেলার ১৯৪টি গ্রামীণ সড়কের ২৮০ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা মেরামতের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১০০ কোটি টাকা।