আজ (সোমবার, ১৮ আগস্ট) দুপুরে কলেজের নতুন ভবনের চতুর্থ তলায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাকে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। প্রায় এক ঘণ্টা পর পুলিশ সদস্যরা এসে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. সাকির হোসেনকে উদ্ধার করে ভবনের বাইরে নিয়ে আসেন। বের হবার সময় কলেজের প্যাডে তিনি কলেজে না আসার কথা লিখে স্বাক্ষর করে যান।
এদিকে আনন্দমোহন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. সাকির হোসেনকে চিহ্নিত আওয়ামী পরিবারের সদস্য ও হাসিনার দোসর আখ্যা দিয়ে বিভিন্ন অভিযোগে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ পদ থেকে অপসারণের দাবিতে টানা এক সপ্তাহ ধরে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের শুরু থেকেই অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন:
ময়মনসিংহে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ সাগর হত্যা মামলার আসামির বড় ভাই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. সাকির হোসেনকে অপসারণ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানান শিক্ষার্থীরা। দ্রুত একজন যোগ্য অধ্যক্ষ পদায়নের মাধ্যমে কলেজের স্বাভাবিক কার্যক্রম ফিরিয়ে আনার দাবি জানান তারা।
এর আগে ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আমান উল্লাহকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাকির হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।