আজ (বৃহস্পতিবার, ৫ জুন) শহরের হাউজিং এলাকার পশুর হাটসহ জেলার হাটগুলোতে সকাল থেকে আসতে শুরু করেন ক্রেতারা। গেল কয়েকদিন তেমন বেচাকেনা না হলেও আজকে হাটে ক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল বেশি। পছন্দ হলে দরদাম করছেন ক্রেতারা। বনিবনা হলেই কিনে নিচ্ছেন পছন্দের পশু।
প্রতিবারের মত এবারো মাঝারি ও ছোট গরুর চাহিদা বেশি ক্রেতাদের মাঝে। এতে ১ লাখ ৪০ হাজার থেকে ১লাখ ৬০ হাজার টাকা দামের গরুগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা বলছে, এ বছর পশুর দাম কিছুটা বেশি। তবে দাম যাই হোক, আজকের মধ্যেই কোরবানির পশু কিনে বাড়িতে যেতে চান তারা।
অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছে, এবার গরু পালনের খরচ, পরিবহনসহ সবকিছুর খরচ ওঠাতে গিয়েই দাম একটু বেশি পড়ছে।
শহরের হাউজিং পশুরহাট মালিক আবু তালেব বলেন, ‘হাটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে প্রশাসন। কেনা-বেচায় কোনো ধরনের প্রতারণা যেন না হয় এ কারণে স্বেচ্ছাসেবী ও পুলিশ প্রশাসন কাজ করছে। হাটে কোরবানির পশু কেনাবেচায় বিক্রেতা ও ক্রেতারা উভয়পক্ষ লাভবান হবেন।’
এ জেলায় এবার ১৮ হাজার খামারে ২ লাখ গবাদিপশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এগুলো জেলার ১৪টি হাটসহ দেশের বিভিন্ন হাটে বিক্রি হচ্ছে। কোরবানির পশু ঘিরে এ বছর জেলায় দেড়হাজার কোটি টাকার ব্যবসা-বাণিজ্য হবে বলে আশা জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার।