শেরপুরে প্রথমবারের মত চাষ হচ্ছে সুপার ফুড চিয়া সিড

সুপার ফুড চিয়া সিড
কৃষি , গ্রামীণ কৃষি
এখন জনপদে
0

শেরপুরে প্রথমবারের মত সুপার ফুড হিসেবে খ্যাত চিয়া সিড চাষ করে বেশ সাড়া ফেলেছেন তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা। মাত্র ৫ হাজার টাকা খরচ করে লাখ টাকার বিক্রির আশা করছেন তিনি। এদিকে, প্রতিদিন তার জমিতে চিয়া সিড দেখতে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষ। তরুণ এই কৃষি উদ্যোক্তার নাম শিমুল মিয়া (২৮)। তিনি শেরপুর সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের সূর্যদী গ্রামের সন্তান।

শিমুল ২০১৩ সালে ইমামবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস এস সি এবং ২০১৫ সালে শেরপুর সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। বর্তমানে তিনি শেরপুর সরকারি কলেজে ইংরেজিতে সম্মান শ্রেণিতে পড়ছেন।

শিমুল জানান, কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় গতবছরের ডিসেম্বরে পরীক্ষামূলকভাবে এবং প্রথমবারের মত বিদেশি উচ্চ মূল্যের অর্থকরী ফসল চিয়া সিডের চাষ করেছিলেন। ৫০ শতক জমিতে বীজ বপন, সার, সেচ ও ফসল ঘরে তোলা পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে পাঁচ থেকে ৬ হাজার টাকা। এদিকে খরচ বাদে লাখ টাকা লাভের আশা তার।

শিমুল আরো জানান, অন্য যেকোনো ফসলের থেকে চিয়া সিড চাষে খরচ ও রোগবালাই কম হয় এবং বাজার মূল্য বেশি থাকায় স্থানীয় কৃষকদের মাঝে চিয়া চাষে আগ্রহ বেড়েছে।

এক বিঘা জমিতে দুই থেকে ৩০০ গ্রাম বীজ প্রয়োজন হয়। বীজ বপনের ৯০ থেকে ১০০ দিনের মধ্যে এই ফসল ঘরে তোলা যায় এবং দেশের বিভিন্ন সুপার শপ ও অনলাইনে প্রতি কেজি চিয়া সিডের বাজারমূল্য ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি। চিয়া সিড দেখতে অনেকটা তোকমা দানা ও তিল বীজের মতো।

এটিতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, আয়রন, পটাশিয়াম, প্রোটিন, ওমেগা-থ্রি'সহ নানা পুষ্টিগুণ। যা মানবদেহে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়া শরীরের দেহের বাড়তি ওজন এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে, রক্তে সুগার স্বাভাবিক রাখে।

স্থানীয় কৃষক বেলায়েত মিয়া (৪২) বলেন, ‘নতুন এই অর্থকরী ফসল চাষে শেরপুরে ব্যাপক সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে অনেক কৃষক চিয়া সিড চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।’

এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন জানান, শেরপুরের মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চিয়া সিড চাষে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষি বিভাগ থেকে নতুন কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। যেন আগামীতে আরও বেশি কৃষক চিয়া সিড চাষে আগ্রহী হয়।

সেজু