র্যাব জানায়, ঘটনার পর থেকেই আসামিকে ধরতে গোয়েন্দা নজরদারি ও তথ্য সংগ্রহ শুরু করে। পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত নীরবকে আটক করা হয়। তাকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ আগস্ট সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল সড়ক ও জনপথের (সওজ) স্টাফ কোয়ার্টার থেকে গৃহবধূ সাবিনা আক্তার লাকির গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত সাবিনা ঢাকার ওয়ারীর গোপীবাগ এলাকার মৃত শামসুল হকের মেয়ে ও মো. রুবেলের স্ত্রী। তাদের সংসারে এক পুত্র ও তিন কন্যা সন্তান রয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ৮ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে সাবিনা আক্তার লাকি বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। পরে ১৩ আগস্ট সকালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা থেকে খবর পেয়ে তার স্বামী রুবেল শিমরাইল সওজ স্টাফ কোয়ার্টারের একটি টিনশেড ভাড়া বাসায় গিয়ে স্ত্রীর রক্তাক্ত গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান।
অভিযোগ রয়েছে, নীরব ওরফে নাজিম দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় বসবাস করছিল এবং কৌশলে সাবিনাকে ডেকে নিয়ে ১২ আগস্ট রাত থেকে ১৩ আগস্ট ভোরের মধ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী রুবেল বাদী হয়ে নীরবসহ অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনকে আসামি করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।