গ্রেপ্তার মোহাম্মদ উল্লাহ্ মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার চরকাটারী গ্রামের বাসিন্দা। আর তিনি শিবালয় উপজেলার নয়াকান্দি জামিয়া ইসলামিয়া উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বলাৎকারের শিকার ওই শিক্ষার্থী নয়াকান্দি জামিয়া ইসলামিয়া উলুম মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। সেখানে থেকেই সে লেখাপড়া করে। গত রোববার রাতের খাওয়া শেষ করে শিশুটি ঘুমিয়ে পড়ে। সেদিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে মোহাম্মদ উল্লাহ তাকে ঘুম থেকে ডেকে তার রুমে নিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক পায়ু পথে ধর্ষণ করে। এ ব্যাপারে কাউকে কিছু জানালে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেয়া হবে। সেই সঙ্গে খুন করার ভয়ভীতিও দেখায়। ঘটনার পরদিন সোমবার (২৫ আগস্ট) কাউকে কিছু না বলে ওই ছেলে বাড়িতে চলে আসে এবং অসুস্থ হয়ে পড়ে। শিশুর মা তার অসুস্থতার কারণ জিজ্ঞাসা করলে ঘটনার বিষয়ে জানায়।
আরও পড়ুন:
ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বলেন, ‘ঘটনা জানার পরপরই আমার স্ত্রী আমাকে জানান। আমি সাথে সাথেই ঢাকা থেকে চলে আসি। আমার আত্মীয় স্বজন ও স্থানীয় লোকজনদের বিষয়টি জানাই এবং মাদ্রাসায় গিয়ে মোহাম্মদ উল্লাহ্ আটক করে পুলিশে খবর দেই। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাকে হেফাজতে নেয়। পরে আমি তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করি।’
তিনি বলেন, ‘প্রায় ছয় মাস ধরে বিভিন্ন সময় আমার ছেলেকে জোর পূর্বক পায়ু পথে ধর্ষণ করে আসছিল ওই শিক্ষক। সে ভয়ে এ বিষয়ে কাউকে কিছু বলে নাই। আমি এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।’
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘ভুক্তভোগীর পরিবার মাদ্রাসায় গিয়ে মোহাম্মদ উল্লাহ্কে আটক করে আমাদের খবর দেয়। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে ভুক্তভোগী শিশুর বাবা থানায় অভিযোগ দেন। তাকে মামলা দিয়ে আজ দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’