আজ (মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শহরের পুরাতন বাস টার্মিনালে জনসেবা হাসপাতালের সামনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার আমজাদ হোসেন এ তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘জনসেবা হাসপাতালের নার্স মৌ খাতুনের সঙ্গে প্রেম ছিল চিকিৎসক আমিরুল ইসলামের সহকারী আসাদুল ইসলামের। গত ২৫ আগস্ট এ নিয়ে চিকিৎসক আমিরুল আসাদুলকে মারপিট করে চাকরিচ্যুত করে। পরে ক্ষিপ্ত আসাদুল হত্যার পরিকল্পনা করে ৩১ আগস্ট রাতে বোরকা পরে ডা আমিরুলের কক্ষে প্রবেশ করে আগেই অবস্থান নেয়।’
তিনি বলেন, ‘পরে রাত ২টার দিকে ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে ডা. আমিরুলকে গলাকেটে হত্যার পর ভোরে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যান আসাদুল। এ ঘটনায় জনসেবা হাসপাতালের তিন নার্সসহ ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। পরে সিসি টিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ করে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত আসাদুলকে বগুড়ার ধুনট থেকে আটক করে পুলিশ।’
এদিকে দুপুরে চিকিৎসক আমিরুল ইসলামের স্ত্রীর অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এছাড়া বিকেলে রামেক হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ আনা হয় জনসেবা হাসপাতালে। পরে পৌর ঈদগা মাঠে জানাজা শেষে গাড়িখানা গোরস্থানে দাফন করা হয় ডা. আমিরুল ইসলামকে।