থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গতকাল জুমার নামাজের পর ‘নুরাল পাগলের’ দরবারে বিক্ষুব্ধ জনতা হামলা চালায়। সংঘর্ষের মধ্যেই দরবারে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও কবর থেকে মরদেহ উত্তোলনের ঘটনা ঘটে। মরদেহটি পরে বিক্ষুব্ধরা পুড়িয়ে ফেলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয় এবং পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।
এতে অন্তত ১০ থেকে ১২ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। দরবারে হামলার ঘটনায় মো. রাসেল মোল্লা (২৮) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দরবারের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গতকাল পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের নিজ বাড়িতে বহু বছর আগে দরবার শরীফ গড়ে তোলেন নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগল। আশির দশকের শেষের দিকে নিজেকে ‘ইমাম মাহদী’ দাবি করে আলোচনায় এলে জনরোষের মুখে ১৯৯৩ সালের মার্চে মুচলেকা দিয়ে এলাকা ত্যাগ করেছিলেন তিনি।
পরে আবার ফিরে এসে দরবারের কার্যক্রম চালিয়ে যান। গত ২৩ আগস্ট ভোরে বার্ধক্যজনিত কারণে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান নুরাল পাগল। সেদিনই প্রথম জানাজা শেষে দরবারের ভেতরে দ্বিতীয় জানাজা নামাজ শেষে বিশেষ কাঠামো তৈরি করে তাকে দাফন করা হয়। কবরটি কাবা শরীফের আদলে রঙ করা হলে স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয়। পরে আন্দোলনের মুখে কবরের রঙ পরিবর্তন করা হয়।