নির্বাচনের ফলাফল অনুসারে, নির্বাচনে তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী জি. এম. হায়দার আলী, মো. শাজাহান আলম এবং মো. মনির হোসেন শেখ কোনো পদেই জয়লাভ করতে পারেননি। প্যানেল নেতা হিসেবে হাতেম বিকেএমইএ-এর নতুন নির্বাহী কমিটির সভাপতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিকেল ৫টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়। যেখানে ৭৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ অর্থাৎ মোট ৫৭২ ভোটের মধ্যে ৪৩১ ভোট পড়েছে।
নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচিত পরিচালকরা ১৫ মে নতুন সভাপতি মনোনীত করবেন এবং ১৭ মে বিকেএমইএ আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মকর্তাদের নাম ঘোষণা করবে বলে বিকেএমইএ নির্বাচন বোর্ডের সচিব সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান জানান।
এর আগে, আজ সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কোনো বিরতি ছাড়াই চলে।
এ বছর ঢাকায় একটি এবং নারায়ণগঞ্জে দুটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তবে চট্টগ্রামে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভোটার থাকা সত্ত্বেও কোনো ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়নি।
এবারের নির্বাচনে মোট ৩৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে, যাদের মধ্যে ৩৫ জন দুই বছরের মেয়াদে পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হবেন।
নির্বাচিত পরিচালকদের মধ্যে থেকে একজন সভাপতি এবং সাতজন সহ-সভাপতিকে এই মেয়াদে মনোনীত করা হবে। সারাদেশে ৫৭২ জন যোগ্য ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ থেকে ২৭২ জন, ঢাকা থেকে ২২৪ জন এবং চট্টগ্রাম থেকে ৭৬ জন। ভোটগ্রহণ ম্যানুয়ালি সম্পন্ন হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন চট্টগ্রামে ভোটার সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম বলে উল্লেখ করে আলাদা কোনো ভোটকেন্দ্র স্থাপন করেনি।
তবে কমিশন চট্টগ্রামভিত্তিক ভোটারদের অন্য দুটি কেন্দ্রের যেকোনো একটিতে ভোট দেয়ার সুযোগ দিয়েছে। ৩৫টি পরিচালক পদের জন্য কেবল একটি প্যানেল প্রার্থী দিয়েছে, অন্য তিনজন স্বতন্ত্রভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
নির্বাচন কমিশন ঢাকার ভোটকেন্দ্রটি শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার থেকে বিকেএমইএর ঢাকা অফিস প্ল্যানার্স টাওয়ারে স্থানান্তর করেছে।