আষাঢ়ের এখনো বাকি দুই সপ্তাহ, বর্ষার আগেই দুই দিনের বৃষ্টিতে ডুবেছে রাজধানীর অনেক সড়ক-অলিগলি। ভারী বৃষ্টিতে শহরের নানা স্থানে তীব্র জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে বেড়েছে ভোগান্তি, বিপাকে নগরবাসী।
জরুরি প্রয়োজনে বাড়ি থেকে বের হয়ে অনেক জায়গায় যানবাহনের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয়। রয়েছে বাড়তি ভাড়ার নেয়ার অভিযোগও।
ভুক্তভোগীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘আমার বাসা থেকে মেইন রোডের রিকশা ভাড়া ২০ টাকা, সেই জায়গায় আজ আমি ৬০ টাকা দিয়ে আসছি। কারণ বৃষ্টি হলেই রিকশা ভাড়া ডাবল হয়ে যায়।’
এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, জলাবদ্ধতার কারণে ঈদকেন্দ্রিক বেচাকেনা কমেছে। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে তারা।
ব্যবসায়ীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘মানুষের কেনাকাটার চাপ গত শুক্রবারেও ছিল, আজও হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু বৃষ্টিতে পানি জমার কারণে অনেক ভোগান্তি হচ্ছে।’
জলাবদ্ধতা নিরসনে সব খাল-জলাশয় উদ্ধারের পাশাপাশি ড্রেনেজ ব্যবস্থা তদারকির আহ্বান রাজধানীবাসীর।
নগরবাসীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘সিটি করপোরেশনে আমরা বারবার বলেছি, তারা এটা নিয়ে কখনোই সেভাবে গুরুত্ব দেয় না। হয়তো ড্রেন হালকা পরিষ্কার করে দেয়, কিন্তু তাতে কোনো সমস্যার সমাধান হয় না।’
এদিকে আবহাওয়া অফিস বলছে, কয়েক জেলায় বৃষ্টি থাকতে পারে আরও দু-একদিন।
আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বলেন, ‘বৃষ্টিপাতের ধারা ১ তারিখ পর্যন্ত চলমান থাকতে পারে। ১ তারিখের মধ্যে ধীরে ধীরে কিছুটা কমে আসবে। ২ তারিখ থেকে হয়তো আমরা কিছুটা ফেয়ার ওয়েদার দেখতে পারবো।’
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে ১৯৬ মিলিমিটার, সর্বোচ্চ ২৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগের মাইজদীকোর্টে।