কুমিল্লার ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে ওষুধের তীব্র সংকট

ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র
এখন জনপদে
স্বাস্থ্য
0

কুমিল্লার ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। চিকিৎসা পেলেও বিনামূল্যে ওষুধ পাচ্ছেন না রোগীরা। এসব হাসপাতালে গাইনি ও প্রসূতি সেবা থাকলেও ওষুধ সংকটে বিপাকে দরিদ্র ও নিম্নবিত্তরা। কবে নাগাদ ওষুধ মিলবে তাও নিশ্চিত করে বলতে পারছে না পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়। ফলে ভোগান্তির কবলে হাসপাতালটির সেবা গ্রহীতারা।

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার সীমান্তঘেঁষা রাজাপুর ইউনিয়নের মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র। আশপাশে আর কোনো ক্লিনিক না থাকায় এখানে রোগীর চাপও বেশি। তাই, এলাকার মানুষের চিকিৎসার একমাত্র ভরসাস্থল এটি। নবজাতকের ডেলিভারিও হয় এ হাসপাতালে। তবে, এখানে রোগীরা পাচ্ছেন না বিনামূল্যের কোনো ওষুধ। ফলে বাধ্য হয়েই কিনতে হচ্ছে বাইরে থেকে।

রোগীদের একজন বলেন, ‘ডাক্তার দেখিয়েছি কিন্তু এখানে পর্যাপ্ত ওষুধ এখানে নেই।’

একই চিত্র জেলার প্রায় সবকটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে। কোনটিতে ৬ মাস, কোনটিতে আবার ৯ মাস ধরে নেই সরকারি ওষুধের সরবরাহ। প্রান্তিক মানুষের জন্য যা তৈরি করছে বাড়তি ভোগান্তি। হাসপাতালকর্মীরা বলছেন, ওষুধ আসে না, তাই দেয়াও সম্ভব হয় না।

হাসপাতালের কর্মীদের একজন বলেন, ‘৫ থেকে ৬ মাস আমাদের এখানে ওষুধ নেই। সরকারের সাপ্লাই ও বাজেট নেই।’

কেন্দ্র থেকেই ওষুধ সরবরাহ বন্ধ থাকায় অসহায় স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীরা। জেলার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তাও বিষয়টি স্বীকার করেছেন। বলেন, ওষুধ আসবে- এমন আশ্বাসে সময় কাটছে তাদের।

কুমিল্লা জেলা শাখা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপপরিচালক স্বপন কুমার রায় বলেন, ‘ওষুধ দেয়া বিঘ্ন ঘটলেও আমাদের সেবা কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটেনি। আমরা সেবা দিয়েছি।’

কুমিল্লায় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ১২৭টি এবং মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র রয়েছে ৫টি। ওষুধ না থাকায় বেশি ভোগান্তিতে দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী।

সেজু