বিগত বছরগুলোতে ডেঙ্গু মূলত ছিল ঢাকার অসুখ। দিন দিন এ রোগ ছড়িয়ে পড়েছে দেশের সর্বত্র। এরইমধ্যে দেশের ৬০ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু। এডিস মশাবাহিত এ রোগে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের ৭৮ শতাংশই এখন ঢাকার বাইরের। যা আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।
জেলা ভিত্তিক সবথেকে বেশি আক্রান্ত বরগুনায়। গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগে সর্বোচ্চ ১২৮ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। আর সর্বনিম্ন ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে, আক্রান্ত মাত্র ২০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ পরিচালক সৈয়দ আবু আহাম্মদ শাফি জানান, শুধু স্বচ্ছ পানিতেই নয়, অপরিষ্কার পানিতেও ডেঙ্গুর লার্ভা জন্মানোর হার সবাইকে ভাবিয়ে তুলছে। সেক্ষেত্রে বাড়ির আঙিনা ও জমে থাকা পানি নিয়মিত পরিষ্কার এর প্রতি জোর দেন তিনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ পরিচালক সৈয়দ আবু আহাম্মদ শাফি বলেন, ‘এডিস মশাগুলোকে আমরা বলতাম যে স্বচ্ছ পানিতে হয়। অন্য পানিতে হচ্ছে না, এরকম একটা ট্রেন্ড ছিলো। কিন্তু ইদানীং দেখা যাচ্ছে অস্বচ্ছ বা ময়লা পানিতেও জন্মাচ্ছে। এটি একটি ভয়ের কারণ। তিন দিনের বেশি জমানো পানি রাখবো না। তিন দিনের বেশি জমানো পানি হলে ফেলে দেব। এবং যে যে জায়গাগুলোতে পানি জমে যেমন- টায়ার, টব, ডাবের খোসা, মাটির হাড়ি ইত্যাদি যত্রতত্র ফেলবো না।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নিশাত পারভিন বলছেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে দরকার একটি জনসচেতনতামূলক আন্দোলন। সেই লক্ষ্যে সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে শুরু হয়েছে জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন। পাশাপাশি অপরিচ্ছন্ন বাসভবনে অভিযান চালিয়ে জরিমানার ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি।
ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নিশাত পারভিন বলেন, ‘এখন যে কাজগুলো হচ্ছে আমাদের অর্থাৎ নরমাল কাজ হচ্ছে এবং এর পাশাপাশি আমরা করছি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, মশক নিধন কার্যক্রম এবং জন সচেতনতা। একইসাথে আমরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি। মুখে বলার চেয়ে শাস্তির বিধান থাকলে আমরা একটু বেশি সচেতন করতে পারি।’
ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে হতে হবে সচেতন। জনসচেতনতামূলক কাজের মাধ্যমেই ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।