বেড়েছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত-মৃত্যুর সংখ্যা; পরিস্থিতির আরও অবনতির শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের

এডিস মশার ছবি
স্বাস্থ্য
0

গেলো দুই মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত এবং মৃত্যু দুটোই বেড়েছে। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে সেপ্টেম্বরে পরিস্থিতি আরও অবনতির শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। এমন অবস্থায় সামনের দিনগুলোতে ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি ঠেকাতে স্বাস্থ্যসেবা খাত ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি দক্ষ স্বেচ্ছাসেবক দল গড়ে তোলার পরামর্শ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।

চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৩০ হাজারেরও বেশি। এর মধ্যে, সবশেষ বুধবার (২৭ আগস্ট) একদিনেই আক্রান্ত হয়েছেন ৪ শতাধিক। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৮৬, চট্টগ্রামে ৭০, ঢাকা বিভাগে সিটি করপোরেশনের বাইরের এলাকায় ৬৮, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৫২, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৯০, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩০, রাজশাহীত ৩১ এবং সিলেট বিভাগে ৫ জন রয়েছেন। 

এছাড়াও বৃহস্পতিবার একদিনেই হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৪ শতাধিক ডেঙ্গু রোগী। এ নিয়ে চলতি বছর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২৮ হাজার ৮৩১ জন ডেঙ্গুরোগী। আর চলতি বছর ২৮ আগস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গুতে প্রাণহানির সংখ্যা ১১৮।

গেলো দুই মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত এবং মৃত্যু দুটোই বেড়েছে। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসলে সামনের মাসে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার শঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।

আরও পড়ুন:

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. মুশতাক হোসেন বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের কোনো হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র চিহ্নিত করা নেই, সব বড় বড় হাসপাতাল। গ্রামাঞ্চলে আছে, প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র,কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র। দ্বিতীয় মাধ্যমিক পর্যায়ে আছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা হাসপাতাল আছে। আর অধিকাংশ জায়গায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আছে। এগুলোতে যথাযথ চিকিৎসা এবং সুযোগ-সুবিধা থাকলে ঢাকা বা চট্টগ্রামের বড় হাসপাতালগুলোতে এ ভিড়টা হতো না।’

এমন পরিস্থিতিতে সামনের দিনগুলোতে ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি ঠেকাতে স্বাস্থ্যসেবাখাত ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি দক্ষ স্বেচ্ছাসেবক দল গড়ে তোলার পরামর্শ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।

ড. মুশতাক হোসেন বলেন, ‘পরিচ্ছন্নতা অভিযান করতে হবে। শুধু পানি জমার পাত্র পরিষ্কার নয়, সার্বিকভাবেই অপরিচ্ছন্ন পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন করতে হবে। হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবক, শিক্ষার্থী-তরুণদের যদি তিন থেকে ৫ দিনের প্রশিক্ষণ দেয়া যায়, তাহলে যারা কীটতত্ত্ববিদ, জনস্বাস্থ্যবিদ এবং পরিবেশবিদ এরা চমৎকার কাজ করেত পারবে।’

ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে হাসপাতালগুলোতে প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। তাই এটি নিয়ন্ত্রণে শহর থেকে গ্রাম— সব পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা বিকেন্দ্রীকরণের তাগিদ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।

এসএইচ