দেশে কোরবানির অর্থ পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা, বাড়ছে রেমিট্যান্স প্রবাহ

প্রবাসীদের পাঠানো কোরবানির অর্থে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে
অর্থনীতি
প্রবাস
0

ঈদুল আজহা কাছাকাছি চলে আসায় বাংলাদেশে থাকা প্রিয়জনদের অর্থ পাঠাচ্ছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রবাসীরা। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করা প্রবাসীদের মধ্যে এ প্রবণতা বেড়েই চলেছে। কোরবানি দেয়া এবং মাংস বণ্টন জটিলতায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৯০ শতাংশ প্রবাসী দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছেন কোরবানির অর্থ। এতে বাড়ছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।

পবিত্র ঈদুল আজহায় আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় পছন্দের পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন সামর্থ্যবান মুসলমানরা। তাই সময় ঘনিয়ে আসায় যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা বাংলাদেশিরা দেশে থাকা প্রিয়জনদের কাছে পাঠাচ্ছেন কোরবানির অর্থ। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করা বাংলাদেশি মুসলমানদের মধ্যে এই প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

দেশে অর্থ পাঠিয়ে পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে কোরবানি দিচ্ছেন অনেক প্রবাসী। এভাবে দেশের অর্থনীতিতে রেমিট্যান্স যোগ করে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন তারা।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে একজন বলেন, ‘একটা উপকার যেটা হচ্ছে, রেমিট্যান্স যাচ্ছে। আপনারা হয়তো দেখছেন যে রিজার্ভে হাত না দিয়েই এই রিজার্ভের টাকা দিয়ে অনেকগুলো ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে ইতোমধ্যেই।’

নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি, মিশিগান, টেক্সাস কিংবা রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি— যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সব জায়গায় রয়েছে বাংলাদেশি মুসলিম কমিউনিটি। 

অনেকে এখানকার পশুর উচ্চমূল্য, কোরবানি দেয়া নিয়ে জটিলতা, আর মাংস বণ্টনে সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এসব কারণে দেশের আত্মীয় স্বজনের কাছে কোরবানির অর্থ পাঠিয়ে দেন বলে জানান তারা।

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে একজন বলেন, ‘এখানে অনেক বেশি টাকা চলে যায়। একজন মানুষ একটা কোরবানি দেয় না, একটা নাম দেয় মাত্র। কোরবানি দেয়ার আসল মজাটা এখানে উপলব্ধি করতে পারে না। মনে করি যে, দেশে যদি দেই, আমার আত্মীয়-স্বজন, ভাই,বন্ধু-বান্ধব যারা আছে তারা অনুভব করতে পারবে।’

কোরবানির মৌসুমে যুক্তরাষ্ট্র থেকেই হাজার হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স যায় বাংলাদেশে। উপকৃত হন কোরবানির পশু ব্যবসায়ী, কসাই, দরিদ্র পরিবারগুলো—সার্বিক অর্থনৈতিক চক্রেও আসে গতি।

আরেকজন বলেন, ‘আসলে পরিবারটা বাংলাদেশেই, এ কারণে সেখানেই কোরবানি দেয়া হয়। এখানেও যদি দেয়া হয়, সেটা অনেকটা মাংস কেনার মত হয়।’

বাংলাদেশের গ্রাম-গঞ্জে এমন অনেক পরিবার আছে যারা সারা বছর মাংস কিনতে পারেন না। তাই ঈদুল আযহার অপেক্ষায় থাকেন অনেকে। কোরবানির মাংসে পূর্ণতা পায় ঈদ আনন্দ।

কোরবানির সময় প্রবাসী বাংলাদেশিদের এই সহযোগিতা শুধু ধর্মীয় দায়িত্ব পালনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং দেশের অর্থনীতিতে এবং সামাজিক ভারসাম্য রক্ষাতেও রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

এসএইচ