পর্দা নামলো ফিনিক্স সামিটের

ফিনিক্স সামিট টুয়েন্টি টুয়েন্টি ফাইভ
প্রযুক্তি সংবাদ
তথ্য-প্রযুক্তি
0

৬ দিনব্যাপী আয়োজন শেষে পর্দা নামলো ফিনিক্স সামিট টুয়েন্টি টুয়েন্টি ফাইভের। সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এ আয়োজনে দেশ ও দেশের বাইরে থেকে অংশ নিয়েছিলেন প্রায় পাঁচ হাজার সাইবার সিকিউরিটি এনথুজিয়াস্ট।

আয়োজকেরা ঢাকার বিভিন্ন প্রান্তের ৮টি বিলবোর্ড হ্যাক করেছেন আর অংশগ্রহণকারীদের তা খুঁজে বের করতে হবে, এমন অভাবনীয়ভাবেই শুরু হয়েছিল ফিনিক্স সামিট টুয়েন্টি টুয়েন্টি ফাইভ।

দেশের শিক্ষার্থী যারা ভবিষ্যতে সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে কাজ করতে চান, দেশ ও বিদেশে যারা সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে কাজ করছেন মোটকথা বাংলাদেশের সাইবার সিকিউরিটির ভবিষ্যৎ তৈরির করার জন্যই এ সামিট।

প্রথম তিনদিন ছিল সরাসরি দেশি-বিদেশি সাইবার সিকিউরিটি স্পেশালিষ্টদের তত্ত্বাবধানে হাতে কলমে শেখার সুযোগ। তাতে একাধারে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানলাভ হয়েছে পাশাপাশি বিদেশি স্পেশালিষ্টরাও শিখিয়ে আনন্দ পেয়েছেন।

ফেলোশিপ শব্দটি শিক্ষা কিংবা পেশাগত খাতে বহুল প্রচলিত হলেও প্রথমবারের মতন সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে ফেলোশিপ পেয়েছেন ১৫ জন শিক্ষার্থী। এ নিয়ে তাদের মধ্যেও যথেষ্ট উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যায়।

সামিটের চতুর্থ দিন, আয়োজকদের ভাষায় ‘ব্লু টিম ডে’, এই দিনে আনুষ্ঠানিকভাবে এবারের সামিটের উদ্বোধন হয়। উপস্থিত ছিলেন সম্মানিত অতিথি জাইকা এক্সপার্ট সোজি আকিহিরো এবং বিশেষ অতিথি এনসিসি ব্যাংক পিএলসির অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর।

এই দিনটাও ছিল শিক্ষার্থীদের। হ্যান্ডস অন লার্নিং, সাইবার সিকিউরিটি স্পেশালিষ্টদের সেমিনার, প্রফেশনাল নেটওয়ার্কিং এর মাঝে অফলাইন এবং অনলাইন দুই মাধ্যমেই শিক্ষার্থীরা মোটা দাগে জেনেছেন ও শিখেছেন ক্রিটিকাল সাইবার সিকিউরিটি ডিফেন্স স্ট্রাটেজি ও টেকনোলজিকাল অ্যাডভান্সমেন্ট।

সামিটের পঞ্চম দিন, আয়োজকদের ভাষায় ‘এন্টারপ্রাইজ ডে’ ছিল মূলত প্রফেশনালদের জন্য। দেশে ও দেশের নানান প্রতিষ্ঠানে সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে কাজ করছেন তারাই ছিলেন এদিনের আয়োজনের কেন্দ্রবিন্দু। কিভাবে নিজেদের ও সিস্টেমকে আরো ডেভেলপ করা যায় তাই ছিল এইদিনের মূল লক্ষ্য। আর এর সম্পূর্ণটাই হয়েছিল প্যানেল ডিসকাশনের পাশাপাশি অফলাইন এবং অনলাইন ট্রেইনারদের সাথে।

শেষ দিন আয়োজকদের ভাষায় ‘দ্যা রেড টিম ডে’। দিনের শুরুটা হয়েছিল আগের দুইদিন থেকে আরো এডভান্সড লার্নিং দিয়ে।

আর দিন শেষে ক্লোজিং সেরেমনি। তবে এর মাঝে ক্যাপচার দ্যা ফ্ল্যাগ - সিটিএফ প্রতিযোগিতার তিন বিজয়ীর হাতে পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয়। ক্লোজিং সেরেমনির দুই বিশেষ অতিথি তাদের ভাবনার কথাও জানান।

প্রতিদিন প্রতিটি সেশন শেষে ছিল প্রশ্নোত্তর পর্ব। শেখার পাশাপাশি ছিল কুইজের আয়োজন। ট্রেইনার ও লার্নারদের সম্পৃক্ততায় সামিটের এই অংশটিও হয়ে ওঠে জমজমাট।

ভবিষ্যৎ পৃথিবীর জন্য যাতে দেশেই ওয়ার্ল্ডক্লাস সাইবার সিকিউরিটি স্পেশালিষ্ট তৈরি করা যায় সে লক্ষ্যেই নিরলস কাজ করে যাচ্ছে ‘দ্যা টিম ফিনিক্স’। আয়োজকরা আশা করছেন ভবিষ্যতে নিজের দেশ থেকেই যাতে সাইবার সিকিউরিটির কাঙ্ক্ষিত রিসোর্স পাওয়া যাবে।

সবশেষে পরের বছরের ফিনিক্স সামিটের দিন ঘোষণার মধ্য দিয়ে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সাইবার সিকিউরিটি সামিট শেষ হয়।

এএইচ