বিটকয়েন যদি চাঁদেও যায়, সেখানেও আমেরিকা পথ দেখাবে এবং এটাই ঘটবে। এভাবেই নির্বাচনী প্রচারণায় যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বের ক্রিপ্টোকারেন্সির রাজধানী হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
নভেম্বরে ট্রাম্প ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর বেশ চাঙা হয়ে ওঠে ক্রিপ্টো বাজার। জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে রেকর্ড সর্বোচ্চ এক লাখ ৯ হাজার ডলারে পৌঁছায় বিটকয়েনের দাম।
এরপর থেকেই ধীরে ধীরে কমতে থাকে ক্রিপ্টোকারেন্সির দর। এক লাখ ডলারের নিচে নেমে বাজার উঠা-নামা করতে থাকে বিটকয়েনের দাম। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে তথাকথিত মিম কয়েনগুলো।
বিশেষ করে, ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্পের চালু করা ট্রাম্প কয়েন-এর দাম কমেছে ৭০ শতাংশ। তবে ততক্ষণে মিম কয়েনের মাধ্যমে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ক্রিপ্টো সম্পদ অর্জন করেছেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রকে ক্রিপ্টোকারেন্সির সাম্রাজ্য করার পথে এগোচ্ছেন অপ্রতিরোধ্য গতিতে।
এরই অংশ হিসেবে এবার যুক্তরাষ্ট্রে বিটকয়েনের কৌশলগত রিজার্ভ গড়ে তুলতে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার নির্বাহী আদেশে সই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে বিনিয়োগকারীরা হতাশ হয়ে পড়ায় ৬ শতাংশের মতো কমে যায় ক্রিপ্টোকারেন্সি দর। এমনকি নতুন এই মজুদ মার্কিনদের কীভাবে উপকৃত করবে তাও স্পষ্ট নয়।
এ অবস্থায় হোয়াইট হাউজের ক্রিপ্টো নীতি প্রধান ডেভিড স্যাকস জানিয়েছেন, এই রিজার্ভ গঠনে কেবল ফৌজদারি এবং দেওয়ানি মামলায় জব্দ করা বিটকয়েন ব্যবহার করা হবে।
এর অর্থ হল এতে করদাতাদের এক পয়সাও খরচ হবে না, আর্থিক বোঝা বহনের ঝুঁকিও নেই। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে প্রায় ২ লাখ বিটকয়েন আছে বলেও জানান হোয়াইট হাউজের ক্রিপ্টো নীতি প্রধান। বর্তমানে যার বাজার মূল্য ১৭ বিলিয়ন ডলার।
সম্প্রতি বিটকয়েন ছাড়াও ৪টি ডিজিটাল মুদ্রাকে কৌশলগত রিজার্ভে অন্তর্ভুক্ত করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন ট্রাম্প। যেখানে রয়েছে ইথেরিয়াম, এক্সআরপি, সোলানা ও কারডানো।